মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



গ্যালিলিও…………….

0 মন্তব্য(গুলি)

আধুনিক টেলিস্কোপের সাথে গ্যালিলিওর নাম ওতপ্রতভাবে জড়িত। আজ আমরা গ্যালাক্সি, মিল্কিওয়ে, সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র যে টেলিস্কোপের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করছি তার ভিত্তি রচনা করেছিলেন গ্যালিলিও।
ইতালির পিসা নগরী। সময় ষোড়শ শতকের শেষ ভাগ। শহরের গির্জায় বসে এক তরুণ ছাত্র তন্ময় হয়ে দেখছে ছাদ থেকে ঝুলন্ত একটি লণ্ঠনের দুলুনি। ডাইনে-বাঁয়ে এবং বাঁয়ে-ডাইনে লণ্ঠনটি যাওয়া-আসা করছে কখনো কম, কখনো একটু বেশি দূর পর্যন্ত। সরলরেখায় নয়, তার যাওয়া-আসার পথটি অদশ্য এক বৃত্তচাপ। সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, দুলুনির ব্যবধান কমবেশি যাই হোক, একেকটি আবর্তনের সময় একই লাগছে। এটি মনে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তরুণটির কব্জির নাড়ি টিপে তার স্পন্দনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখল, যা ভেবেছে ঠিক তাই। দুলুনির সময়ে এতটুকু হেরফের হচ্ছে না। প্রতিদিনি কত লোকই তো দেখছে ওই দোলন, কিন্তু কারও মাথায় খেলেনি সময়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের ওই বৈশিষ্ট্য। ওই মাথাটি আসাধারণ বলেই বৈজ্ঞানিক সত্যটি মুহূর্তে ধরা পড়ে গিয়েছিল সেই তরুণের চোখে। তরুণটি আর কেউ নন, পর্যবেক্ষণ আর পরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের জনক গ্যালিলিও গ্যালিলি। একটি দৈনন্দিন ঘটনা থেকে তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন পেন্ডুলামের তত্ত্ব। গ্যালিলিওর বয়স তখন মাত্র ১৭। ডাক্তারি পড়ছেন পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ডাক্তারি বইয়ে মন নেই, তার আগ্রহের মূল কেন্দ্র তখন গণিত। ততদিনে তার দেখা হয়ে গেছে তাসকেনির গ্র্যান্ড ডিউক এবং প্রশাসকের সভা গণিতজ্ঞ অস্তিলিও রিকির সঙ্গে। শোনা যায়, রিকি যখন গণিতের ক্লাস নিতেন, গ্যালিলিও দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কান পেতে রাখতেন সেই বক্তৃতায়। কারণ, তিনি চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্র গণিত তার বিষয় নয়। রিকির নজরে পড়তে দেরি অবশ্য হয়নি গ্যালিলিওর। রিকিও প্রাণ ঢেলে শেখান প্রতিভাধর নতুন ছাত্রটিকে। গণিতের এ জ্ঞান, পরবর্তীকালে ‘মেকানিকস’ অর্থাৎ গতিবিদ্যা তত্ত্ব রচনায় বিশেষ সহায়ক হয়েছিল। পদার্থ বিজ্ঞানে আধুনিক গণিতবিদ্যারও জনক গ্যালিলিও গ্যালিলি। ষোড়শ শতকে ইউরোপীয় রেনেসাঁ এবং নবজাগরণের অন্যতম অগ্রপথিক তিনি। পিসা নগরীতেই ১৫৬৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্যলিলিওর জন্ম। এক সময় ধনী এবং অভিজাত হিসেবে পরিচিত ছিল তাঁদের বংশের। ১৫ শতকের মাঝামাঝি ওই বংশের এক নামী পুরুষ ছিলেন গ্যালিলিও বোনাইউতি। তিনি ছিলেন একধারে চিকিৎসক এবং প্রশাসক। গ্যালিলিও গ্যালিলির যখন জন্ম হয়, বংশের সেই গৌরব তখন আর নেই। কিন্তু আভিজাত্যের পলিশটুকু তখনো ছিল। গ্যালিলিওর বাবা ভিনসেনজিও ছিলেন ফ্লোরেন্সের রাজসভার সঙ্গীতকার। আবার গণিতত্ত্বে দক্ষতা ছিল তার। মেলামেশা ছিল উচ্চমার্গীয় ডিউক এবং প্রিন্সদের সঙ্গে। ছেলেবেলা থেকেই গ্যালিলিওর আগ্রহ ছিল সঙ্গীতে, সম্ভবত বাবার কাছ থেকেই তা পাওয়া ‘লিউট’ নামক একটি যন্ত্র বাজানোয় পেশাদারি দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তিনি। গ্যালিলিওর আজীবন সঙ্গী ছিল লিউট-আইনস্টাইনের যেমন বেহালা অথবা সত্যেন বসুর এস্রাজ।
১১ বছর বয়স পর্যন্ত গ্যালিলিওর পড়াশোনা বাড়িতেই, প্রধানত বাবার কাছে। কখনো বা গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে। এরপর ১৫৭৫ সালে প্রথাগত শিক্ষার জন্য বালক গ্যালিলিওকে পাঠানো হয় ফ্লোরেন্স থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এক মনাস্টেরিতে। ৪ বছর সেখানে পড়াশোনার পর ১৫ বছর বয়সে গ্যালিলিওকে ওই মঠের শিক্ষানবিশ যাজক করে নেয়া হয়, যা তাঁর বাবার একেবারেই পছন্দ ছিল না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি যথেষ্ট বিরাগ ছিল তার। চোখের অসুখের জন্য ডাক্তার দেখানোর নাম করে তিনি যাজকদের খপ্পর থেকে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন। চোখের অসুখটা অবশ্য বানানো ছিল না। কিন্তু ভিনসেনজিও ছেলেকে আর সেই মঠে ফেরত পাঠাননি। তিনি চেয়েছিলেন, তার নামী এক পূর্বপুরুষের মতোই ছেলে চিকিৎসক হিসেবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হোক। তাই গ্যালিলিওকে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলেন পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্র এবং সূর্য ও গ্রহগুলো তাকে আবর্তন করে চলেছে। টলেমির এ পৃথিবী কেন্দ্রিক তত্ত্ব যে ভুল, তথ্য ও যুক্তি দিয়ে কোপারনিকাস তা প্রমাণ করেন, যার কথা লেখা আছে তার বিখ্যাত ‘ডি রেভলিউশনারস’ গ্রন্থে।
বিস্তারিত পড়ুন »

পিরামিড রহস্য

0 মন্তব্য(গুলি)



মিসরের সবচেয়ে বড় পিরামিডের উচ্চতা ৪৮০ ফুট ও প্রস্থ ৭৫৬ ফুট। কীভাবে এত বড় বড় বেলে পাথর উত্তোলন করে ওই বিশাল আয়তনের পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল তার সঠিক মত পাওয়া যায় না। তবে ধারণা করা হয়-ফারাও রাজাদের হাজার হাজার যুদ্ধ বন্দি চার পাশের বেলে মাটি দিয়ে উঁচু করেছিল। পরে বড় বড় পাথর খ-গুলো উপরে উঠিয়ে পিরামিড তৈরি করেছিল। শেষে পিরামিডের চারপাশ থেকে ওই বালি মাটি কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। আর এভাবেই ওই পিরামিডগুলো তৈরি হয়েছিল বলে সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য মতবাদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ওই সব রহস্যময় পিরামিড় ও মমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সময় গবেষণা করেছেন জার্মানি প্রত্নতত্ত্ববিদ এডিস ভনভনির নাম উল্লেখ্যযোগ্য। তিনি সারাবিশ্বের অনেক পিরামিড নিয়েই খনন কাজ ও গবেষণা করেছেন। ফলে অনেক রহস্য, নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন। আর পিরামিড মূলত প্রাচীন মানুষের সুরক্ষিত করব। তবে পিরামিড ও মমি শুধু মিসর বা ঈজিপ্টেই পাওয়া যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও পাওয়া গেছে।
বহু মমি এমন সুরক্ষিত ও সযত্নে রাখা হয়ে ছিল যে, দেখে মনে হয় আজো তারা জীবিত। যেন সেই ইতিহাস আজো ঐতিহাসিক কথা বলে। এরে মধ্যে সবচেয়ে রহস্যময় মমি পাওয়া গেছে দক্ষিণ আমেরিকার পেরু আঞ্চলে। যেগুলো তৈরি করেছিল প্রাচীন ইনকা সভ্যতার মানুষ। ইনকারা এই মমিগুলো হিমায়িত করে রাখত। যাতে তারা পরকালে ওই দেহ থেকেই আবার জীবিত হয়ে উঠতে পারে। তাদের দেহ অক্ষত থাকে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালা এবং মেক্সিকোর ইউকাটানের জঙ্গলে পাওয়া গেছে আরেক বিশাল পিরামিডের নগরী। যার সাথে মিসরীয় সভ্যতা ও পিরামিড নগরীর হুবহু মিল রয়েছে। মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ৬০ মাইল বা প্রায় ১০০ কি.মি দূরে অবস্থিত চেলুলার মালভূমি। আর এখানেই পিরামিড নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। যা আয়তনে মিসরের গিযা নগরীর পিরামিডের চেয়েও আনেক বড়। তবে সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো ওইখানকার প্রতিটি পিরামিড গ্রহ-নক্ষত্রের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া গেছে নিখুঁত মায়া পঞ্জিকা বা বছর হিসাব করার ক্যালেন্ডার। সেই পঞ্জিকা অনুসারেই ওই পিরামিডগুলো তৈরি করা হয়েছে। আপনী যদি মিসরে যান। তাহলে অবাক হয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে ভাববেন। কীভাবে প্রায় একজন মানুষের সমান বর্গাকৃতির সিমেন্টর মতো তৈরি খ-গুলো এত উপরে তুলে ওই পিরামিডগুলো তৈরি করা হয়েছে? কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে? প্রযুক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে সহজ বালি প্রযুক্তি। তবে সবচেয়ে বেশি গবেষণা চলছে মমি নিয়ে। আর এ গবেষণার ফলে নানান তথ্য আবিষ্কার হয়েছে। তবে জার্মানির প্রত্নতত্ত্ব বিজ্ঞানী এডিস ভনভনির ক্যান শ্রেষ্ঠত্ব আছে। তিনি এই পিরামিডের রহস্য আবিষ্কারের জন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন পিরামিডের স্থান ভ্রমণ করেছেন। ইনকা সভ্যতার অট্টালিকা ও বিশাল বিশাল পিরামিডগুলোর প্রাচীর নির্মাণ করতে ব্যবহার হয়েছিল প্রায় ১০০ টন ওজনের বেলে পাথরে খ-। সেগুলো নিখুঁত জ্যামিতিক মাপে তৈরি। ১৯৫৩ সালে ককেশাশের উত্তর শাকারায় প্রাচীন সমাধি ক্ষেত্রে এক বিরাট করব স্থান আবিষ্কার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটা প্রথম রাজবংশ কোনো ফারাওদের কবর হতে পারে। প্রধান কবর ছাড়া আরো ৭২টি কবর সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। ১৯৫৪ সালে সেগুলো খনন কাজ করা সময় ওই খানেই আরো একটি কবর আবিষ্কার হয়। কবরটি আগে কেউ দেখেনি। তার মধ্যে সোনা-দানা মূল্যবান জিনিস সবই রাখা ছিল। ডক্টর গানিদ নামের এক অধ্যাপক কবরে রাখা ওই কফিন বক্সটি বহু কষ্ট করে খুললেন। কিন্তু কি আশ্চর্য সেই সমাধিটির কফিন বক্সটি ছিল ফাঁকা। কোনো মমি তার মধ্যেই পাওয়া যায়নি। রাশিয়ান বিজ্ঞানী রোবেঙ্কো কুরগান একটি পিরামিড আবিষ্কার করেন চীনের উত্তরে চেঙ্গিস খানের দেশ মঙ্গোলিয়ার সীমান্তে। ওই কবরের সব কয়টি প্রকোষ্ঠ বরফ দিয়ে আটকানো। ভেতরে সব জিনিস হিমায়িত করে রাখা প্রধান কবরে রয়েছে ১টি পুরুষ ও ১টি নারীর মমি।
দৈনন্দিন জীবন যাপনের সব উপকরণই রয়েছে ওই কবরের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে। চীনের সিচুয়ান প্রদেশে অবস্থিত রয়েছে ৪৫ ফুট লম্বা ৩১ ফুট উঁচু ৩৯ ফুট চওড়া একটি পিরামিড। আলপিছ নামক স্থানে পাওয়া গেছে ১টা হিমবাহু কবর। সাইবেরিয়ার জমে থাকা তুষারের নিচে পাওয়া গেছে ১টা হিমবাহু কবর। সাইবেরিয়াতে পাওয়া গেছে তুষারের মধ্যে কবর বা মমি জেরিকোতে রয়েছে পিরামিডের আদলে নির্মাণ করা ১০,০০০ বছর আগেকার কবর বা মমি। চীনের গোবি মরুভূমিতে পাওয়া গেছে অত্যধিক গরমে গলে যাওয়া কবর বা লাশ। যা প্রায় ১২০০০ বছর আগের। নমুনা দেখে বুঝা যাচ্ছে এই কবরে ছিল ২টি ধনী লোকের লাশ। আফ্রিকার নরিয়া লাপাতা মরুভূমি অঞ্চলে আবিষ্কার করা হয়েছে-বেশ কয়েকটি পিরামিড। যা মিসরের পিরামিডের আদলে তৈরি করা। মধ্য আমেরিকাতে লাখ লাখ পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর শুধু মেক্সিকোতে পাওয়া গেছে ১ লাখ পিরামিড। যার মধ্যে অনেক পিরামিড আছে, যা এখনো কেউ ধরেই দেখেনি। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের দেশ মেক্সিকোর চেলুলার মালভূমিতে যে বিশাল পিরামিড রয়েছে এগুলোই বিশ্বে সংখ্যাধিক পিরামিড। যা মিসর সর্বাপেক্ষা বড় থিউপসের পিরামিডের দ্বিগুণ। ওই পিরামিডের মধ্য থেকেই ১৯৫২ সালের ১৫ জুন, একটি মমিসহ সোনা-দানা বিষয় সম্পত্তি সবই আবিষ্কৃত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো কেন এই পিরামিডগুলো তৈরি করা হতো? কেন মৃত মানব দেহকে মামি করে পিরামিডের মধ্যে রাখা হতো? এটা কি মুসলমানদের মতো পরকাল বা আখিরাতের ওপর বিশ্বাস করে? নাকি অন্য কোনো রহস্য রয়েছে। অতি হিমায়িত করে কোষগুলোকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখার চিন্তা ভাবনা, এই সে দিন মানুষের মাথায় এলো। অধ্যাপক এটিনজার, যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভবিষ্যতে মানুষের মৃতদেহকে নির্দয় ও অমানবিকভাবে পুড়িয়ে ফেলা হবে না। কবরে পচিয়েও ফেলা হবে না। রেখে দেয়া হবে হিমায়িত করে। তার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে একদিন সেই মৃতদেহকে জীবিত করে তোলা হবে। তাহলে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ বছর আগেকার লোক কি জানতো এই প্রক্রিয়া? যা আজ ও আবিষ্কার হয়নি। মমি রহস্যের পেছনে এমন একটা চিন্তা ধারা থাকলে থাকতেও পারে। হয়ত তখনকার লোক জানতে পেরেছিল যে শরীরকে হিমায়িত করে রাখা যায়। তারা এও জানতো যে সুদূর ভবিষতের মানুষ একদিন এই মৃতদেহকে জীবিত করে তুলতে পাবে।
বিস্তারিত পড়ুন »

পানিতেই মোবাইল চার্জ!!

0 মন্তব্য(গুলি)
 
হাতের কাছের নল-ডোবা-পুকুর কিংবা নদীর পানি ব্যবহার করতে পারবেন মোবাইল চার্জ করার জন্য, সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়।
সুইডেনের স্টকহোমে কেটিএইচ রয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা এমন চার্জার তৈরি করেছেন,যেটিতে পানি দিলেই কাজ করবে।
সে পানি সামান্য ময়লাযুক্ত হলেও সমস্যা নেই। মাইক্রোফয়েল সেল প্রযুক্তিতে তৈরি চার্জার ‘এমওয়াইএফসি পাওয়ারট্রেক’ পানি পেলে ৩ ওয়াট ব্যাটারি রিচার্জ করতে পারবে।
গবেষক অ্যান্ডারস লুনডব্ল্যাড বলেন,চার্জারের অভ্যন্তরে ধাতব ডিস্কে পানি পড়লেই হাইড্রোজেন গ্যাস বের হবে। অক্সিজেনের সঙ্গে তা মিশে রাসায়নিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত করবে। এতেই চার্জ হবে ব্যাটারি।
 এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে ল্যাপটপ চালানো নিয়ে সমস্যাও দূর করা যাবে।
বিস্তারিত পড়ুন »

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির র‌্যাম আসছে খুব শিগ্রই (৮ গিগাবাইট ডুয়াল-চ্যানেল)

0 মন্তব্য(গুলি)
কম্পিউটার র‍্যাম যান্ত্রিক জীবনের এক অপরিহার্য হার্ডওয়্যার। আমাদের কম্পিউটার এর গতি অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের কম্পিউটার এ লাগানো র‍্যাম এর উপরে। দিন দিন আমাদের চাহিদা বেড়েই চলছে তাই প্রযুক্তি আমাদের দিচ্ছে নিত্য নতুন সহ পন্য। গেমস অথবা ভালো মানের ভিডিও চালাতে র‍্যাম এর চাহিদা আরো বাড়তেই থাকবে সে আমরা খুব ভালো করেই জানি। আর সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার যন্ত্র নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ‘কর্সেয়ার’ সম্প্রতি নতুন এক ধরনের র‌্যাম বাজারে ছাড়ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। র‌্যামটির নাম ‘ভেনজেন্স এক্সট্রিম’। এটি হবে ৩০০০ মেগাহার্টজ গতির। আর এতে থাকবে ৮ গিগাবাইট ডুয়াল-চ্যানেল ডিডিআরথ্রি মেমোরি কিট। বলা হচ্ছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির র‌্যাম।
দুটি ৪ গিগাবাইট মেমোরি কিটযুক্ত এ র‌্যামটি সাধারণ ‘এয়ার কুলিং’-এ ১ দশমিক ৬৫ ভোল্টে এবং ১২-১৪-১৪-৩৬ ল্যাটেন্সি সেটিংসে ৩০০০ মেগাহার্টজ গতিতে মেমোরি আদান-প্রদান করবে। এটি তৃতীয় প্রজন্মের ইনটেল কোর আনলকড প্রসেসরের সঙ্গে সমন্বিত মেমোরি কন্ট্রোলারে ৩০০০ মেগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে চলতে সক্ষম। ৩০০০ মেগাহার্টজ-সম্পন্ন দ্রুতিগতির এই ভেনজেন্স এক্সট্রিম মেমোরির কঠিন অভ্যন্তরে চারটি প্রক্রিয়া রয়েছে। কার্যক্ষমতা নির্বাচনে ইনটেল জেড৭৭-ভিত্তিক মাদারবোর্ড, আসুস পি৮জেড৭৭-আই ডিলাক্স এবং এএসরক জেড৭৭ওসি ফর্মুলা সম্পাদিত হয়েছে।কর্সেয়ারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জি এম থি লা বলেন, ‘আমাদের প্রকৌশলী দলের কঠিন পরিশ্রমের ফলে আমরা মেমোরির জন্য এ রকম একটি ভালো প্রযুক্তি পেয়েছি। আর আমরা খুশি হবো তখনই, যখন এই নতুন ভেনজেন্স এক্সট্রিম মেমোরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।’ নতুন এই প্রযুক্তির পন্য আমাদের মাঝে দ্রুত ছরিয়ে পড়ুক সেই কামনায় আজকের মত বিদায় ধন্যবাদ।

বিস্তারিত পড়ুন »

এটা কি মশা না অন্যকিছু?

0 মন্তব্য(গুলি)
ছবিটি ভালভাবে দেখুন, কি অন্যরকম মনে হচ্ছে? মশার সাথে মিল আছে তবুও একটু অন্যরকম তাইনা?
হ্যাঁ সত্যিই এটা মশার আকাড়ে তৈরী গোয়েন্দা মশা। এই মশা US gov এর অথায়নে তৈরী হচ্ছে। এটা দুর হতে নিয়ন্ত্রন সম্ভব এবং এর সাথে ক্যমেরা ও মাইক্রফোন সংযুক্ত আছে।
এটা আপনার শরীরে অনায়াসে বসতে পারে (যেমন মশা বসে)। বসে শরীর হতে DNA sample সংগ্রহ বা RFID (Radio Frequency Identification) ট্রাকিং ন্যনো প্রযুক্তি ছেড়ে দিতে পারে আপনার উপর গোয়েন্দাগির করার জন্য। এটা সাধারন মশার মত জানালা দিয়ে বা আপনার পরিহিত কাপড়ের মাধ্যমেও আসতে পারে আপনার ঘড় পযন্ত।
কি চমকে গেলেন? দেখুন মশা ভেবে কয়টা স্পাই মশা এপযন্ত মেরেছেন হা হা হা।
আজ এ পযন্তই নতুন কিছু পেলে লিখব এই আশায় শেষ করছি।
বিস্তারিত পড়ুন »

মঙ্গল গ্রহে খরস্রোতা নদীর চিহ্ন!

0 মন্তব্য(গুলি)
মঙ্গল গ্রহের পাহাড়ি এলাকায় পাথরের কোল ঘেঁষে কয়েক হাজার কোটি বছর আগে বয়ে চলত খরস্রোতা নদী। দীর্ঘদিন ধরে সেই স্রোতে পাথর ক্ষয়ে পরিণত হতো নুড়িতে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) মহাকাশযান কিউরিওসিটি মঙ্গলপৃষ্ঠে পানিপ্রবাহের সেই প্রমাণ পেয়েছে। নাসা গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষকেরা ক্যালিফোর্নিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কিউরিওসিটি মঙ্গলপৃষ্ঠে যেসব পাথরের সন্ধান পেয়েছে, সেগুলোর বয়স কয়েক শ কোটি বছর বলে অনুমান করা যেতে পারে। সম্ভবত সেখানে দীর্ঘদিন আগে নদীপ্রবাহ ছিল এবং সেই স্রোতে নুড়ি জমা হয়েছে। মঙ্গলপৃষ্ঠে নদীপ্রবাহের চিহ্নসংবলিত


নুড়ি বিছানো পথের সন্ধান এটাই প্রথম।
কিউরিওসিটির বিজ্ঞানী রেবেকা উইলিয়ামস বলেন, কিউরিওসিটির পাঠানো ছবিতে পাথরগুলোর আকৃতি দেখে বোঝা যায়, এক জায়গা থেকে অন্যত্র স্রোতে ভেসে যেত। এই আকৃতির পাথর সরিয়ে নেওয়া বাতাসের পক্ষে সম্ভব নয়।
নাসার গবেষকেরা জানান, কিউরিওসিটির পাঠানো ছবিতে মঙ্গলপৃষ্ঠে প্রাচীন একাধিক নদীর সংযোগস্থলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত রয়েছে। ছবিতে দৃশ্যমান পাথরগুলো ক্ষয়ে যাওয়ার কারণ সম্ভবত খরস্রোতা নদীর প্রবাহ। কিউরিওসিটি মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে ১০-১৫ সেন্টিমিটার পুরু একটি পাথর তুলে পরীক্ষা করেছে। কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি লেকের নাম অনুসারে গবেষকেরা ওই পাথরটির নাম দিয়েছেন ‘হোটা’। পাথরটির গায়ে লেগে থাকা কাঁকর বিশ্লেষণ করে পানিপ্রবাহের গতি এবং সংশ্লিষ্ট নদীর উৎসবিষয়ক তথ্য অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাবেন বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলপৃষ্ঠে পানির প্রবাহ ছিল বলে গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরেই ধারণা করছিলেন। তাঁরা কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে তোলা মঙ্গলের ছবি বিশ্লেষণ করে সেখানে পানির অস্তিত্বের ধারণা করতেন। তবে কিউরিওসিটি সেখানে অবতরণের পর প্রাচীন নুড়ি ও বালু দিয়ে গঠিত পাথরের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাতে শুরু করে।
কিউরিওসিটি গত ৬ আগস্ট অবতরণ করে ‘লাল গ্রহের’ পৃষ্ঠে। গবেষকদের ধারণা, সেখানকার পাথর বিশ্লেষণ করে পানির অস্তিত্বের ব্যাপারে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাসের সম্ভাব্যতা এবং অতীতে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, দুই বছরব্যাপী অভিযানে তা যাচাই করে দেখবে কিউরিওসিটি।
বিস্তারিত পড়ুন »

চলতি বছরের জুন মাসেই আসছে পঞ্চম প্রজন্মের আইপ্যাড

0 মন্তব্য(গুলি)
চলতি বছর জুন মাসের ১৮ তারিখটি ক্যালেন্ডারের পাতায় চিহ্নিত করে রাখতে পারেন কারন এ দিনটিতেই পঞ্চম প্রজন্মের আইপ্যাডের ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট পিসি ম্যাগ। সম্প্রতি আইপ্যাডের নতুন সংস্করণ নিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নানা খবর প্রকাশিত হয়। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, বর্তমানে বাজারে থাকা আইপ্যাড মিনির মত হালকা-পাতলা ও চকচকে হবে আইপ্যাডের পঞ্চম সংস্করণটি।

জুন মাসের ১৮ তারিখ এ পণ্যটির বাজারে আনার ঘোষণা আসতে পারে। তবে ২৭ জুন থেকে আইপ্যাড ৫ বাজারে পাওয়া যেতে পারে বলেই ধারণা করছেন বাজার গবেষকেরা। এদিকে আইপ্যাড ৫ ঘোষণা দেওয়ার আগেই ১০ জুন থেকে ১৪ জুন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্স নামের বার্ষিক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতে পারে অ্যাপল। এ অনুষ্ঠানে আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণের ঘোষণা আসতে পারে। এর পরপরই হয়তো আবারও একঝাঁক অ্যাপল পণ্য বাজারে আনার ঘোষণা দিতে পারেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক।
অবশ্য বাজার গবেষকেরা ধারণা করলেও অ্যাপল আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপ্যাড ও আইফোনের পরবর্তী সংস্করণ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে অ্যাপল। অ্যাপলের নতুন সংস্করণের ট্যাবলেট কম্পিউটারের নাম হতে পারে আইপ্যাড ৫ ও স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ‘আইফোন ৫ এস’। এদিকে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে অ্যাপলকে। বাজারের চাহিদা অনুসারে এবারের পণ্যগুলোতে নতুনত্ব রাখতে পারে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
বিস্তারিত পড়ুন »

এমন একটি পোশাক যে শরীরের যেকোনো নড়াচড়ায় রং বদলাতে সক্ষম

0 মন্তব্য(গুলি)
আজব টেকনোলজি আবারো হাজির হয়েছে নতুন সব তথ্য প্রজুক্তির গরম খবর নিয়ে। প্রতি নিয়ত বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি আমাদের আরো সামনে নিয়ে যাচ্ছে, দিন দিন আমরা নতুন সব আবিষ্কার পাচ্ছি এটাই স্বাভাবিক বর্তমান বিষের জন্য। ঠিক তেমন একটি আজব প্রজুক্তির খবর নিয়ে এসেছি আজকে সেটি হচ্ছে কানাডার গবেষকেরা বিশেষ এক ধরনের প্রযুক্তি-পোশাক তৈরি করেছেন, যা পরার পর শরীরের যেকোনো নড়াচড়ায় রং বদলাতে সক্ষম। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য অনুযায়ীও পোশাকটি রং বদলাতে সক্ষম।


এ পোশাকের মাধ্যমে মুঠোফোনেও চার্জ দেওয়া যাবে। গবেষকেরা পোশাকটি তৈরিতে বিশেষ এক ধরনের বৈদ্যুতিন তন্তু ব্যবহার করেছেন, যা শরীর থেকে তাপ শোষণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। গবেষকেরা জানান, রং পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি-পোশাক ও মুঠোফোন চার্জ করতে সক্ষম জামার গবেষণাকাজ চলছে। এ ধরনের প্রযুক্তি-পোশাক বাজারে আসতে আরো এক দশক লাগতে পারে।
কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই বিশেষ প্রযুক্তি-পোশাক নিয়ে গবেষণা করছেন। গবেষকদের ভাষ্য, বর্তমান সময়ে বাজারে প্রচলিত পোশাকের চেয়ে প্রযুক্তি-পোশাক হবে আরও উন্নত। বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য অনুযায়ী এ পোশাকের রং পরিবর্তিত হবে। গবেষকেরা জানান, বিশ্বের অনেক দেশেই এখন প্রযুক্তি-পোশাক নিয়ে গবেষণা চলছে। ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও এই মুহূর্তেই বাজারে আসছে না পোশাকটি। এটি বাজারে আসতে এখনো ঢের দেরি বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
বিস্তারিত পড়ুন »

ওয়াই-ফাই কে ডিঙিয়ে ‘লাই-ফাই’ ইন্টারনেট চলবে এখন লাইটের আলোর থেকে।

0 মন্তব্য(গুলি)
সম্প্রতি জার্মানির গবেষকেরা দ্রুত গতিতে তথ্য স্থানান্তরের নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তাঁদের দাবি, ‘লাই-ফাই’ নামের তথ্য স্থানান্তর পদ্ধতিতে বর্তমানের ওয়াই-ফাইয়ের তুলনায় শত গুণ দ্রুত গতিতে তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।
বার্লিনের ফ্রানহফার ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা জানিয়েছেন, লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে তাঁরা ৮০০ মেগাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন। এ পদ্ধতিতে এলইডি ব্যবহার করে ডিজিটাল তথ্যের সংকেত পাঠানো হয়। একটি লাইট সেন্সর এলইডি থেকে পাঠানো তথ্য শনাক্ত করতে পারে, যা পরে কম্পিউটারে প্রসেসিং করা সম্ভব হয়। গবেষকেরা এ পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন ‘লাই-ফাই’।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, লাই-ফাই ব্যবহার করে হাই-ডেফিনেশন মানের চলচ্চিত্রও এক মিনিটেই ডাউনলোড করা সম্ভব। আর বাড়ির প্রতিটি বৈদ্যুতিক বাতিকে লাই-ফাই প্রযুক্তির রাউটার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে তারবিহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট হিসেবে কাজ করতে পারে।
জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইবার অপটিকস এক্সপোতে লাই-ফাই প্রযুক্তি প্রদর্শন করতে পারেন জার্মানির গবেষকেরা।
বিস্তারিত পড়ুন »

বাংলাদেশে আহরণযোগ্য ইউরেনিয়াম এর সন্ধান

0 মন্তব্য(গুলি)
গত দুই দশক ধরেই জোর গুঞ্জন ছিল, বাংলাদেশের মাটিতে উত্তোলনযোগ্য ইউরেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনটি সত্যি হয়ে ধরা দিল বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) এর রিপোর্টে। দেশের বৃহত্তর তিন নদী পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনায় এবং সিলেট বিভাগ ও ময়মনসিংহে নদীবাহিত বালুতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য ইউরেনিয়াম রয়েছে বলে জানিয়েছে এই  প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সেখানে সবচেয়ে দামি খনিজ প্লাটিনাম রয়েছে বলেও শোনা গেছে। তবে  সরাসরি নয়, এই ইউরেনিয়াম বাণিজ্যিকভাবে আহরণের পর বিশ্ববাজারে বিক্রি করা যাবে।”
যেভাবে শুরুঃ জিএসবি পূর্বে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ের আশেপাশের এলাকায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান পেয়েছিল, যদিও তা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য ছিল না। ১৯৮৯ সালে উল্লিখিত নদীগুলোয় উজান থেকে বয়ে আনা বালুতে গুরুত্বপূর্ণ ভারী খনিজ ও রাসায়নিকের সন্ধান পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে সরকার কার্বন মাইনিং বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনার প্রায় চার হাজার হেক্টর চরাঞ্চল অনুসন্ধান জরিপের জন্য নির্দেশ দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কুড়িগ্রাম জেলার যমুনার বালুতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইউরেনিয়ামসহ কয়েক প্রকার ভারী খনিজের নিশ্চিত উপস্থিতি রয়েছে।

প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্যকে সুত্র ধরে  জিএসবি পদ্মা, যমুনার বালুর রাসায়নিক ও খনিজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়। এর অধীনে পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার অন্তত ১০টি স্থানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ২০ মিটার গভীরতা থেকে বালুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যা দেশে ও বিদেশের গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, ওই নদীগুলোর বালুতে আহরণযোগ্য ভারী খনিজ ও রাসায়নিকের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। বানিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য যেখানে ৭ শতাংশই যথেষ্ট। প্রতি ১ টন বালুতে যদি ১ গ্রাম ইউরেনিয়াম পাওয়া গেলেই বাণিজ্যিকভাবে আহরণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ” বিষয়টি সম্পর্কে নিবিড় জরিপ ও অনুসন্ধানের জন্য জিএসবিকে একটি প্রকল্প তৈরি করতে বলা হয়েছে। এটি তৈরির প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে আছে।”
জিএসবির মহাপরিচালক সিরাজুর রহমান খান বলেন, “কার্বন মাইনিং অনুসন্ধান এবং জিএসবির বিশেষ কার্যক্রমের ফলাফল প্রায় একই রকম ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক। অতি শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বিস্তারিত পড়ুন »

রহস্যময় ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতি ৯৯.৮% নিশ্চিত

0 মন্তব্য(গুলি)
মার্কিন গবেষণাগারে রহস্যময় ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, বিজ্ঞানীদের কাছে এতদিন যা অধরা ছিল। পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব অনুযায়ী ধারণা করা হয়, মহাবিশ্বের এক চতুর্থাংশ জুড়ে রয়েছে ডার্ক ম্যাটার। অবশেষে , প্রথমবারের মতো সেই ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতির ইঙ্গিত এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ভূগর্ভস্থ গবেষণাগার থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার এক খনির গভীরে অবস্থিত ক্রায়োজেনিক ডার্ক শ্যাটার রিসার্চ (সিডিএসএস) গবেষণাগারে পাওয়া সূত্রগুলো ইতিবাচক আশা দিচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানীদের। প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পদার্থবিজ্ঞানীরা ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতির ইঙ্গিত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের। তাদের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন আরো বিস্তারিত গবেষণার।
এরপরও সাধারণ পদার্থের সংস্পর্শে ডার্ক ম্যাটার আসার ঘটনা খুবই বিরল। মহাশূন্যে যে তাপমাত্রা বিরাজ করে, গবেষণাগারের একটি ডিটেক্টরে একই তাপমাত্রা সৃষ্টির মাধ্যমে সেই বিরল ঘটনার  প্রত্যক্ষদর্শী হবার চেষ্টা করে সিডিএমএস।
সিডিএমএস বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গবেষণাগারের ডিটেক্টরে ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতির তিনটি ইঙ্গিত পেয়েছেন তারা। ইঙ্গিতগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করতে আরো বিস্তারিত গবেষণার কথা জানিয়েছেন সিডিএমএস বিজ্ঞানী ব্ল্যাস ক্যাবরেরা। পুরোপুরি নিশ্চিত হতে সিলিকিন এবং জার্মেনিয়াম ডিটেক্টর ব্যবহারের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ” আমরা বর্তমানে ডার্ক ম্যাটারের আবিষ্কার নিয়ে ৯৯.৮ শতাংশ নিশ্চিত, কিন্তু আমরা ৯৯.৯৯৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হতে চাই। আমরা ডার্ক ম্যাটারের তিনটি ইঙ্গিত পেয়েছি যেটাকে সিগমা-৩ বলা হয়। সিগমা-৪ এ প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর সিগমা-৫ এ ডার্ক ম্যাটার আবিষ্কৃত”।
বিস্তারিত পড়ুন »

‘টাইম মেশিন’ উদ্ভাবন ও নিবন্ধনের দাবি করেলেন ইরানের এক তরুণ বিজ্ঞানী

0 মন্তব্য(গুলি)
সম্প্রতি ২৭ বছর বয়সী ইরানের তরুণ বিজ্ঞানী আলী রাজেকি ‘টাইম মেশিন’ উদ্ভাবন ও নিবন্ধনের দাবি করেছেন। তিনি এমন একটি যন্ত্র উদ্ভাবনের দাবি করেছেন, যা ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে পারবে।
কমপক্ষে পাঁচ বছর এবং সর্বোচ্চ আট বছর পরে কী হবে, সে সম্পর্কে যন্ত্রটি প্রায় নির্ভুল তথ্য দেবে বলে আলী রাজেকি দাবি করেছেন। তার দাবি, অনেকগুলো জটিল গণনাপ্রণালীর মাধ্যমে যন্ত্রটি ৯৮ শতাংশ সঠিক তথ্য দিতে সক্ষম। যন্ত্রটি স্পর্শ করার সাথে সাথে যন্ত্রটি স্পর্শকারীর ভবিষ্যত তথ্য সম্বলিত একটি প্রিন্টেড কপি দেয়।
আলী রাজেকির দাবি। “এ মেশিনটি কোন দেশের ভবিষ্যতের কোন অপ্রাত্যাশিত ঘটনার বছরও অবলিলায় বলে দিবে “।

তবে বর্তমানে কথিত এই টাইম মেশিনের বাণিজ্যিক উৎপাদন না করার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ” আমরা এখনই এটির প্রটোটাইপ চালু করছি না, এতে চিন এ যন্ত্রের আইডিয়া চুরি করতে পারে। দেখা যাবে, এক রাতেই তারা কয়েক কটি যন্ত্র তৈরি করে ফেলেছে!”
তবে কথিত এই টাইম মেশিনের জন্য আমাদের আরও পাঁচ থেকে আট বছর অপেক্ষা করতে হবে, যাতে মেশিনটির বর্তমানের ভিবিষ্যত বাণী সত্য হচ্ছে কি না তা নিরূপণ করা যায়। যেমনটা আগে বলা হয়েছে, এই মেশিনটি সর্বোচ্চ আট বছর পরে কী হবে তা বলে দিতে সক্ষম।
তবে ইরানের বিজ্ঞান,গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপমন্ত্রী মুহাম্মদ মেহদিনেজাদ নুরি রাষ্ট্রীয় উদ্ভাবন কেন্দ্রে ‘টাইম মেশিন’ নিবন্ধনের খবর নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, “যে কেউ বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের দাবি করতে পারেন। কিন্তু দেশে এ ধরনের উদ্ভাবন নিবন্ধনের জন্য সুস্পষ্ট আইনি প্রক্রিয়া আছে এবং নিবন্ধনের জন্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়”।
বিস্তারিত পড়ুন »

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট অ্যান্টেনা

0 মন্তব্য(গুলি)
আরো একবার স্বাগতম আজব টেকনোলজি এর খবর নিয়ে আমি আজব টেক। আজকে একটি আজব তথ্য নিয়ে এসেছি যা হচ্ছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্রাকৃতির অ্যান্টেনা উদ্ভাবন করেছে। প্রযুক্তিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির এমন দাবি করছে এর উদ্ভাবকরা।
ভারতের মেসরার বিড়লা ইন্সটিটিউট অব টেকনোলোজি’র শিক্ষাব্যবস্থাপনা সদস্য প্রফেসর শ্রীকান্ত পাল এবং তার গবেষণাকর্মের সহযোগী স্কলার ম্রিনময় চক্রবর্তী মিলে অ্যান্টেনাটি ‌উদ্ভাবন করেছে। প্রযুক্তিটির বিশেষত্ব সম্পর্কে তারা বলেন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে চমকপ্রদ, শক্তিক্ষম অধিক-সম্প্রসারিত ব্যান্ড পরিকল্পক যা বিভিন্ন ডোমেইনের মধ্যে থেকে আবাসস্থল এবং মেলেটারি ‍অ্যাপলিকেশন খুঁজতে সক্ষম।
এই(ইউডব্লিউবি) প্রযুক্তি সুবিশাল ডাটা নিয়ে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের গতিশীল অবস্থা নিয়ে আসছে। আরও বলা হয় ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কস (ডব্লিউপেনস) পরিকল্পনায় নিয়ে স্বল্প বিস্তারণের পরিকল্পনা হয়েছে। বিআইটি-মেসরার পিএইচডি শিক্ষার্থী বলেন আমাদের এ উদ্ভাবনার উচ্চতা ১১ মিমি. এবং চওড়া ১৪ মিমি. যা বিশ্বের সবচেয়ে নুন্যতম আকার এবং সীমাতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ মাত্রা ১০:১ এর চেয়ে বেশি।
মূলত তার থেকে মানুষকে মুক্ত করা এবং আকৃতি হ্রাস করা এ পরিকল্পনার অভীষ্ট লক্ষ্য যাতে যেকোনো বক্র পৃষ্ঠে ছড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া দামেও এটি স্বস্তা। এতে ব্যবহৃত উপাদানের মধ্যে আছে কমদামি উন্নয়নকৃত ফাইবার প্লাস্টিক।
প্রসঙ্গত, পল যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটিতে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের জন্য রেডিও জ্যোতিবিজ্ঞানী বিষয়ক গবেষণাকর্মের সঙ্গে আছেন।
বিস্তারিত পড়ুন »

মহাবিশ্বের সবথেকে বিস্ময়কর ‘ব্ল্যাক হোল’র খোঁজে বিজ্ঞানীরা

0 মন্তব্য(গুলি)
আজব টেকনোলজি নিয়ে আবারো হাজির হয়েছি চমৎকার আরো কিছু সংবাদ জানাতে। মহাবিশ্বের এক চতুর্থাংশের বেশি জায়গা জুড়ে আছে ব্ল্যাক হোল। এখন পর্যন্ত ব্ল্যাক হোল মহাবিশ্বের সবথেকে বিস্ময়কর একটি। এবার এই বিস্ময়কর ‘ব্ল্যাক হোল’র খোঁজে বিজ্ঞানীরা নেমেছেন মাঠে। রয়টার্স জানিয়েছে, এর রহস্য উদঘাটনের অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।
তারা আরো জানিয়েছেন যে ব্ল্যাক হোলের গাঠনিক উপাদান আবিষ্কার করতে পারলেই পদার্থবিজ্ঞানের বিশাল এক রহস্যের দ্বার খুলে যাবে। বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে কসমিক রশ্মি নিয়ে গবেষণা করার সময় কিছু পজিট্রন কণা আবিষ্কার করেন, যা ধারণা করা হচ্ছে ব্ল্যাক হোল থেকে আগত। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা এবং বাস্তব এক নাও হতে পারে।

গবেষণা প্রকল্পের প্রধান ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থেকে স্যামুয়েল টিং জানান, এখন সার্ন রিসার্চ সেন্টার নির্মিত এএমএস পার্টিকল ডিটেক্টরের মাধ্যমে কয়েক মাসের মধ্যেই নির্ণয় করা যাবে এই নতুন ধরনের পজিট্রন কণাগুলোর উৎস কি। তিনি আরও বলেন, এমনও হতে পারে যে, এগুলো পালসার নামের নিউট্রন-জাত নক্ষত্র থেকে এসেছে।
পরিচিত ১৭টি কণার মধ্যে কিছু কাউন্টারপার্ট রয়েছে, যেগুলো অদৃশ্য এবং এদের মাত্রাগুলো (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, সময় প্রভৃতি) অজানা। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী এই কৃষ্ণ বস্তুর রহস্য বের করতে পারলে এমন হাজারো প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে মহাবিশ্বের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকা রহস্যঘেরা ডার্ক এনার্জি সম্পর্কেও অনেক তথ্য জানা যাবে। যা পরবর্তী গবেষণার কাজে আবারো সুত্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
বিস্তারিত পড়ুন »

সম্পূর্ণ জ্বালানিবিহীন এবং সৌরশক্তি চালিত উড়োজাহাজ

0 মন্তব্য(গুলি)
আজন টেকনোলজি এর দুনিয়াতে আপনাকে স্বাগতম জানাই। ভেবে দেখুন একবার জ্বালানির বোঝা নয়, এবার বিমান উড়বে সৌরশক্তির সাহায্যে। আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের এপাশ-ওপাশ উড়বে অতি হালকা ওজনের সম্পূর্ণ জ্বালানিবিহীন এবং সৌরশক্তি চালিত উড়োজাহাজ। তবে আপাতত যাত্রী বহনের আশা করতে পারছেন না বিমানটির প্রস্তুতকারকরা। এটিই হচ্ছে বিশ্বের প্রথম সৌরশক্তিচালিত বিমান। খবর : দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।প্রথম সৌর বিমান সম্পূর্ণ সৌরশক্তিচালিত বিমানটির বডি তৈরি করা হয়েছে কার্বন ফাইবার দিয়ে। ৭৪৭ জেটলাইনারের মতো পাখা, এর ওজন একটি স্টেশন ওয়াগনের সমান।
এটি চলতে লাগবে স্কুটারের চাহিদার সমপরিমাণ শক্তি। বিমানটির পাখার সঙ্গে সোলার প্যানেল যুক্ত থাকবে। ভেতরে থাকবে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। বিমানটি দিনে সূর্য থেকে শক্তি নেবে আর রাতের জন্য শক্তি সঞ্চয় থাকবে ব্যাটারিতে। বিমাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে এমন সৃষ্টিশীল প্রকৌশল, যা সূর্য ডুবে গেলেও সৌরশক্তি গ্রহণের ক্ষমতা রাখে।



উদ্বোধনী দিনে ক্যালিফোর্নিয়ার সিভিল-সামরিক বিমানবন্দর মফেট ফিল্ড থেকে উড়ে বিমানটি নিউইয়র্ক সিটি পর্যন্ত যাবে। মাঝে যাত্রাবিরতি নেবে টেক্সাসের ডালাস শহরে। তবে জুলাই নাগাদ অ্যারিজোনার ফিনিক্স, ওয়াশিংটন ডিসি, টেনেসির ন্যাশভিল ও জর্জিয়ার আটলান্টা পর্যন্ত রুট হবে বিমানটির। ১০ বছরের প্রচেষ্টার ফসল এ বিমানের আপাতত দায়িত্ব দুই সুইস পাইলট বার্ট্রান্ড পিকার্ড ও আন্ড্রি বরশবার্গের হাতে।
বিস্তারিত পড়ুন »

মহাকাশ থেকে সৌর বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোর প্রকল্প

0 মন্তব্য(গুলি)
অফুরমত্ম সূর্যরশ্মি দিয়ে মহাকাশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পৃথিবীতে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল স্পেস সোসাইটি এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ অ্যাস্ট্রোনটিকসের একদল বিজ্ঞানী।


প্রকল্পটি এখনো গবেষণাগারে রয়েছে। তবে প্রসত্মাবিত প্রকল্পটি ‘প্রযুক্তিগতভাবে সম্ভব’ বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। তারা জানান, গবেষণাগারের বর্তমান প্রযুক্তিতে কক্ষপথে এমন বিদ্যুৎ প্রকল্প বসানো সম্ভব যাতে করে আগামী এক বা দুই দশকের মধ্যে সৌরশক্তি সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠানো যায়। তবে এ প্রকল্পের জন্য গবেষকরা কোন রোডম্যাপ দেননি। গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন নাসার বিশেষজ্ঞ ও মার্কিন মহাকাশ সংস্থার সাবেক প্রধান কনসেপস জন ম্যানকিনস।
তিনি বলেছেন, এ বিষয়টি স্পষ্ট যে ২১ শতকে বৈশ্বিক বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে মহাকাশ থেকে সরবরাহ করা সৌরশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। গবেষণায় বলা হয়, মহাকাশ সৌরশক্তি নামের নতুন এ ধারণাকে বাজারজাত করতে প্রয়োজন সরকারি অর্থায়ন। কারণ এ প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ‘অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার’ মুখোমুখি হতে পারে। তাই শুধু বেসরকারি খাতের পক্ষে প্রকল্পটি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তবে প্রকল্পটি বাসত্মবায়নে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। ন্যাশনাল স্পেস সোসাইটির মতে, মহাকাশ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিবেশগতভাবে নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
 

প্রসত্মাবিত প্রকল্প অনুযায়ী, বিষুব রেখার ওপর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে পর্যায়ক্রমে একের পর এক বেশকিছু সৌরশক্তি-চালিত কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করা হবে। এ উপগ্রহগুলোর একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব হবে কয়েক কিলোমিটার। এ উপগ্রহগুলো দৈনিক ২৪ ঘণ্টা পর্যমত্ম সূর্যের আলো সংগহ করতে পারবে। এরপর সূর্যের আলো থেকে সংগৃহীত তাপশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপামত্মর করে মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিটিং অ্যান্টেনা ও লেজারের মাধ্যমে পৃথিবীর যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠানো হবে।
 
বিস্তারিত পড়ুন »

নাসার নতুন আবিষ্কারঃ প্রমাণ মিলেছে মঙ্গল গ্রহে পানি

0 মন্তব্য(গুলি)
সালাম সবাইকে আসা করি ভালো আছেন। আজব টেকনোলজি এর দুনিয়ায় আরেকবার সবাইকে জানাই স্বাগতম। নাসার মহাকাশযান ‘অপরচ্যুনিটি’ মঙ্গল গ্রহে প্রাচীন এক পাথরের ফাটলে জিপসাম নামক খনিজের একটি স্তরের সন্ধান পেয়েছে। ‘প্লাস্টার অব প্যারিস’ নামে পরিচিত জিপসামের এ স্তর এককালে গ্রহটিতে পানির উপস্থিতিরই সুস্পষ্ট প্রমাণ। কারণ, পাথরের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহের কারণেই সেখানে জিপসাম তৈরি হতে পারে। মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে গ্রহটির দুই বিপরীত প্রান্তে ‘অপরচ্যুনিটি’ ও ‘স্পিরিট’ নামের দুটি মহাকাশ যান পাঠায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
‘অপরচ্যুনিটি’ এর আগেও মঙ্গল গ্রহে সালফেট খনিজের সন্ধান পেয়েছিলো। কিন্তু তা বাতাসে উড়ে যাওয়ায় কিংবা অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় সে সময় সব তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। এরফলে ওই খনিজ মঙ্গলে পানির অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কিনা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিলো বিতর্ক। কিন্তু প্রাপ্ত জিপসাম এবার সে বিতর্কেরই অবসান ঘটালো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহাকাশযান দুটির প্রধান গবেষক ও করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিষয়ক বিজ্ঞানী স্টিভ স্কুয়ারস বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি পুরো মঙ্গল অভিযানে এটিই পানি প্রবাহের একমাত্র সুস্পষ্ট পর্যবেক্ষণ। আমরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত হয়ে সংবাদটি পুরো পৃথিবীর লোকদের জানাচ্ছি।’’ তবে জিপসামের অস্তিত্ব নিশ্চিত হতে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে এবং জিপসামের মতো দেখতে অন্য খনিজের স্তরও পরীক্ষা করে দেখবে নাসা।
স্কুয়ারস বলেছেন, ‘‘এ খনিজটি এখানেই তৈরি হয়েছে। পাথরের গায়ে ফাটল আছে। এর মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানি থেকে জিপসাম এখানে জমা হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। গল্পের এখানেই শেষ।’’
বিস্তারিত পড়ুন »

নাসা – ১১ কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের পদচিহ্ন

0 মন্তব্য(গুলি)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে অবস্থিত মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা বা নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে খোঁজ মিলেছে, ফসিলে পরিণত হওয়া ১১ কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের পদচিহ্ন। গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার ক্যাম্পাসে ডাইনোসরের পায়ের ওই ছাপটি আবিষ্কার করেন জীবাশ্মবিজ্ঞানী রে স্ট্যানফোর্ড।
ক্যাপশন যুক্ত করুন
গডার্ড স্পেস সেন্টারে আবিষ্কৃত ডাইনোসরের পায়ের ছাপটি ১১ কোটি বছর আগের নিরামিশাষী ডাইনোসর ‘নোডোসর’-এর বলে জানিয়েছেন স্ট্যানফোর্ড। স্ট্যানফোর্ডের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ডাইনোসর এক্সপার্ট ডেভিড উইশ্যামপেল।
যেখানে বসে নাসার বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অভিযানে ছুঁটে বেড়াবার বুদ্ধি অাঁটেন সেখানেই ক্রিটেসিয়াস সময়ে (৬.৫ কোটি বছর থেকে ১২.৫ কোটি বছর পর্যন্ত) রাজত্ব ছিলো নোডোসরের। একই জায়গায় ছোট আকৃতির আরো কয়েকটি ডাইনোসরের পায়ের ছাপ আবিষ্কার করেছেন স্ট্যানফোর্ড। ওই পায়ের ছাপগুলো মাংশাষী ডাইনোসর থেরোপডের হতে পারে বলেই ধারণা করছেন স্ট্যানফোর্ড।
ডাইনোসরের ফসিলের জন্য বিশেষ খ্যাতি রয়েছে ম্যারিল্যান্ডের। এমনকি ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বাল্টিমোরের মাঝের জায়গাটুকু জীবাশ্মবিজ্ঞানীদের কাছে পরিচিত ‘ডাইনোসর অ্যালি’ নামে।
বিস্তারিত পড়ুন »
 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার