মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্যে এই কর্মসূচিতে যোগ দিন (প্রতিবাদ)

0 মন্তব্য(গুলি)
আমাদের দেশ তৃতীয় বিশ্বের এক উন্নতশীল দেশ এই দেশের প্রায় লোক আজ ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছে কিন্তু এর দাম এত চড়া যে মনে হয় কম্পানি গুলো রক্ত চুষা।
সত্যিই কম্পানি গুলো রক্ত চুষা নাহলে টেলিনর, সিটিসেল, এয়াটেল এর মত বাঘা বাঘা প্রতিষ্ঠান গুলো চাইলে পারে ইন্টারনেটের মূল্য কমাতে কিন্তু তারা তা করে না কারণ তারা ভাবে আমরা বোকা। শুধু ভাবেনা আমাদের বোকা বানিয়ে শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । আমাদের এর বিরুদ্ধে আন্দালনে নামতে হবে । প্রয়োজনে নিয়মিত ভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে হবে । সামনে বাজেট এর আগে কিছু করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে হবে।আর করেই লাভ কি সরকার আছে তার দান্ধায় মুখে বলে ::: ডিজিটাল বাংলাদেশ ::: কিন্তু কই এর নাম ডিজিটাল বাংলাদেশ যেখানে ইন্টারনেটের এই অবস্থা:
1 GB ---- 300<.-.>350 টাকা (teletalk ব্যতীত)
আনলিমিটেড-----600<.-.>1700 টাকা (teletalk ব্যতীত)
এছাড়া রয়েছে রক্ত চুষা অনেক পেকেজ যা বলে শেষ করা যাবেনা কারণ এক এক কম্পানির 10-15 প্যাকেজ।
আবার নেট স্পিড কম গত কাল টে.টি. জানলাম যে 50% আপলোড স্পিড কমিয়ে দিচ্ছে।এর মানে কি ফ্রিল্যানসারদের পঙ্গু করে দেয়া। আমাদের এর জন্য প্রতিবাদ করতে হরে এর মাধ্যম হতে পারে ফেইসবুক আমি একটি পেইজ খুলেছি আপনারা লাইক দিন পেজের লিংক টি হল :
কম-খরচে-ইন্টারনেট-চাই
বিস্তারিত পড়ুন »

আসুন ইন্টারনেট এর দাম কমানোর প্রতিবাদ আরো জোরদার করি।

0 মন্তব্য(গুলি)

একটি জরুরি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই আমার এই টিউন। এক হিসেবে দেখা যায় GP এবং অন্যান্য মোবাইল অপারেটররা প্রতি জিবি ডাটা সরকারে কাছ থেকে ক্রয় করে মাত্র ৫ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে.. কিন্তু গ্রাহকরা পাচ্ছি সেটি ৩০০টাকায়!! এ ব্যাপারটি যদি মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করেন তবে নিশ্চিত ভাবে এটি আমাদের জন্য ভাল ফলাফল বয়ে আনবে। এটা মিডিয়ার দায়িত্বও বটে। ১৫
মেগাবাইট ইন্টারনেট এখনো আমাদের কিনতে হয় ৩৫ টাকা দিয়ে, বাংলালিংকে ২০ মেগা ২৩ টাকা, রবিতে ১ জিবি ২৭৫ টাকা! অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রতি জিবির দাম খুবই কম। আমাদের অত সুবিধা দরকার নেই কিন্তু আমরা এত অভাগা যে আমরা সামান্য সুবিধা টুকুও পাচ্ছিনা। বতর্মান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চায় কিন্তু তারা শুধু ব্যন্ডউইথ এর দাম কমিয়েই পগারপার হয়ে যাচ্ছে, একটু দেখছেও না যে এদিকে অপারেটররা জনগনের উপর কিভাবে চড়াও!! জিপি সবসময় আনলিমিটেডের নামে ফেয়ার ইউজেস পলিসি লাগায় দিয়ে বেরাচ্ছে সেই জন্মসূত্রে ! ৯৭৭ টাকার একটি আনলিমিটেড মাসিক প্যকেজ আছে এদের। শর্ত হচ্ছে ৫ জিবি ইউজেসের পর স্পিড পাবেন দুই কেবিপিএস!! এতগুলা টাকা দিয়ে কিনছি অথচ ব্যবহার করতে দিচ্ছে ৫জিবি। এগুলা দেখার মত কি কেউ নেই?
আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ এই যে, মোবাইল অপারেটরদের চাপ দিয়ে ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে এই প্রযুক্তিটি আমাদের কাছে সহজলভ্য করতে সহায়তা করুন।
_______________________________________
___
____
বিস্তারিত পড়ুন »

মানি এক্সচেঞ্জের নামে প্রতারণা। সবাই সাবধান থাকুন| ভেবে-চিন্তে লেনদেন করুন।

0 মন্তব্য(গুলি)
আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য প্রায়ই ডলার এক্সচেঞ্জের দরকার হয়। কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ এক্সচেঞ্জারই ভূয়া। আজকে আমি আপনাদের এমন একজন প্রতারকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো। আপনারা আর কেউ যাতে আমার মতো প্রতারিত না হন এবং অপরিচিত কারো সাথে লেনদেন করার আগে ভেবে চিন্তে লেনদেন করেন তার জন্ন্যেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস কারণ প্রতারক একজনকে ঠকিয়ে ক্ষান্ত হয়না, নতুন শিকারের আশায় থাকে ।
এবার চলে যাই আমার ঘটনায়-
বিশেষ কারনে আমার payza account এ $50 দরকার ছিলো কিন্তু আমার moneybookers এ ডলার ছিলো। Google এ সার্চ দিয়ে বেশ কয়েকটা  এক্সচেঞ্জার এর খোজ পেলেও ভরসা করতে পারছিলাম না। শেষে একটা ফেসবুক পেজে একজন বাংলাদেশীর সন্ধান পাই। ভাবলাম একই দেশের মানুষ হয়তো ঠকাবেন না। আসলে ফ্রীলান্সীং করতাম বলে মানুষের উপর খুব ভরশা হয়ে গিয়েছিলো। এই বিশ্বাস করাটাই ছিলো ভুল। যাই হোক আমি প্রতারকের সাথে আমার ফেসবুক কথোপকথন তুলে ধরলাম-
প্রতারক 5-10 মিনিটে এক্সচেঞ্জের ওয়াদা করে-

ডলার সেন্ড করার পর প্রতারক আর কোনো উত্তর দেয়নি।
পরের দিন সকালে প্রতারক আবার তার ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দেয়া শুরূ করে নতুন শিকারের আশায়-

প্রতারকের ফেসবুক পেইজ-
http://www.facebook.com/LRMBPayzaExangeServicehome
প্রতারক চক্রের আরো কিছু পেইজ-
http://www.facebook.com/STPtoLRMBpayzawmznetelleregopaypmpaypalexchange
http://www.facebook.com/netellerLRMBwmzstpperfectmoneypayzaegopayexchange
http://www.facebook.com/payzamoneybookersWMZLibertyreserveexchangeservice
প্রতারকের contact info -
email:jibonkhanab12@gmail.com
skype:jibon2056
gtalk:jibonkhanab12@gmail.com
yahoo:jibonkhan482@yahoo.com
alias:jibonkhan482
সবাই ভালো থাকবেন এবং নিজের কষ্টার্জিত টাকা কোন চোরের হাতে তুলে দিবেন না।
ধন্যবাদ।
আমার মানিবুকারস account থেকে ডলার প্রেরণের প্রমান-
বিস্তারিত পড়ুন »

মোটা ও গরিব বানাচ্ছে ফেসবুক!

0 মন্তব্য(গুলি)
কি অবাক লাগছে? অবাক লাগার কিছু নেই। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা সম্প্রতি এই তথ্যটিই জানিয়েছেন,ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট বা নতুন কোনো ছবি ফেসবুকে দেওয়ার আগে আরেকবার ভাবনার প্রয়োজন পড়তে পারে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পকেটের অর্থ খোয়ানো ও শরীরের চর্বি জমানোর জন্যও ফেসবুক দায়ী হতে পারে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেইথ উইলকস ও পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক অ্যান্ড্রু স্টিফেন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের বেশ কিছু ইতিবাচক দিক আছে। এটা মানুষের মনে ভালো কিছু করার স্পৃহা জাগিয়ে তোলে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে নিজের সক্ষমতার বোধ তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারে বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিন্তু সাময়িক এ স্পৃহা আচরণের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। সাময়িক স্পৃহা পরবর্তীকালে আত্মনিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেয়, যা পরে অনেক নেতিবাচক আচরণ তৈরি করে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুক ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীরা নানা রসনাবিলাস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা যে বেশি খাচ্ছে, তা খেয়াল থাকে না। ফলে শরীরে মেদ জমতে শুরু করে। আবার তাদের আর্থিক সমস্যা প্রকট হয়ে উঠতে পারে, ধারদেনার পরিমাণ বেড়ে যায়।
‘কনজ্যুমার রিসার্চ’ সাময়িকীতে জুন মাসে এ গবেষণাপত্র প্রকাশিত হবে।
গবেষকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে তরুণদের অবশ্যই আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে।
আজকে এ পর্যন্ত।ভুল হলে ক্ষমা করবেন।আর সবাইকে আমার ব্লগে ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইল
বিস্তারিত পড়ুন »

৮০ লাখ আইফোন ফেরত নিচ্ছে অ্যাপল

0 মন্তব্য(গুলি)
 
 
অ্যাপল পণ্যের একটি বৃহৎ অংশ নির্মাণ করে থাকে চীনা প্রতিষ্ঠান ফক্সকোন। তবে গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ফক্সকোন নির্মিত ৮০ লাখ আইফোন বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে অ্যাপল।চীনা ব্যবহারকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইফোন প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চীনের সংবাদ মাধ্যম ‘চায়না বিজনেস’-এর বরাত দিয়ে ম্যাশেবল জানিয়েছে, আইফোন নির্মাণে ত্রুটি থাকায় এ ক্ষতির দায়ভার ফক্সকোনকে বহন করতে হবে। বিপুল সংখ্যক আইফোন পুনরায় উৎপাদন অথবা মেরামতেরর জন্য ফক্সকোনের আনুমানিক ১৬০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
এতে দীর্ঘ মেয়াদে আর্থিক সংকটে পড়বে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কী ধরনের ত্রুটির কারণে বাজার থেকে আইফোন তুলে নেওয়া হচ্ছে তা এখনও অস্পষ্ট। পাশাপাশি আইফোনের কোন সংস্করণটিতে ত্রুটি পাওয়া গেছে সে ব্যাপার
বিস্তারিত পড়ুন »

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীদের সাবধান বানী – নতুন একটি ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বাড়ছে

0 মন্তব্য(গুলি)
কম্পিউটার বা মোবাইল অনলাইনের সর্বত্র ছরিয়ে আছে ভাইরাস। অনলাইন ব্যবহারকারীদের মাঝে সারাক্ষণ একটি আতংক জেন কাজ করেই যায়। তবে অনলাইন এই আতঙ্ক আজীবন থাকবে এতাই স্বাভাবিক। সেই সাথে নতুন নতুন সমাধান ও বেড় হয়ে আসবে এটাও সাভাবিক। সাম্প্রতি ব্যাডনিউজ নামের একটি ম্যালওয়্যার  অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীদের অস্থির করে রেখেছিল। গবেষকেরা জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েডে ‘ব্যাডনিউজ’ এর মতন নতুন নতুন ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বাড়ছে। গুগলের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর ‘গুগল প্লে’তে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘ব্যাডনিউজ’। ছদ্মবেশি এ ম্যালওয়্যারটি স্মার্টফোন থেকে এসএমএস পাঠানোর ভনিতায় অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্ষম ছিল। এছাড়াও এ ম্যালওয়্যারটি অ্যান্ড্রয়েডে ইনস্টল করা হলে ভূয়া সংবাদ, বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রতারণা করছিল।


এই তথ্যটি জানিয়েছে এনডিটিভি। অবশ্য গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ব্যাডনিউজ’ ম্যালওয়্যারটি এর মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে মোবাইল নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান লুকআউটের গবেষকেরা দাবি করেছেন, গুগল প্লে স্টোরে তাঁরাই প্রথম ‘ব্যাডনিউজ’ নামের ম্যালওয়্যারটির সন্ধান পেয়েছিলেন। এটি নতুন ধরনের একটি ম্যালওয়্যার। এ ম্যালওয়্যারটি গুগল প্লে স্টোরের ৩২ টি অ্যাপ্লিকেশনে আক্রমণ করেছিল এবং এই ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপ্লিকেশন ৯০ লাখবারেরও বেশিবার ডাউনলোড করেছেন ব্যবহারকারীরা।
বিদেশী একটি ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফট লুকআউটের গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘ব্যাডনিউজ’ বুঝতে পেরে গুগল এ ম্যালওয়্যারটি সরিয়ে ফেলেছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। এবং এ নিয়ে বেশ কিছুদিন তারা কাজ করে স্থায়ী ভাবে এর একটি সন্ধি করবে। তারা জানিয়েছে অদূর ভবিষ্যতে জেনো এমন আর না হয় সেদিকেও তারা যথাযথ ততপর থাকবে।
বিস্তারিত পড়ুন »

একজন হতাশাগ্রস্থ ফ্রিল্যান্সার থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্পঃ আমি এবং ওডেস্ক

0 মন্তব্য(গুলি)
হ্যাঁ গল্পটা আমারই। গল্পটা ভেবে রেখেছিলাম ৬ মাস আগে। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেদিন সফল হব সেদিনই এইটা শেয়ার করবো। একদিন এই গল্প লেখার মত সাহস ছিলনা আমার কিন্তু স্বপ্ন ছিল। আসলে এইটাকে গল্প বলা ভুল হবে, এটাতো বাস্তব।

শুরুর কথাঃ

আমার শুরুটা হয়েছিল ভুল পথে। প্রথম আমার ব্যাক্তিগত কম্পিউটার কিনি ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে। তার আগে শুধু পত্রিকায় পড়তাম অনলাইনে কাজ করে নাকি টাকা পাওয়া যায়। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই ভাবলাম আমিও অনলাইনে কাজ করব আর টাকা কামাবো।
২০১১ সালের নভেম্বর। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে ভাল ধারনা ছিল না। তারপরেও বিশাল একটা সুযোগ পেলাম টাকা ইনকাম করার। আর তা হল ক্লিক করে টাকা আয় করার। বহু কষ্টে ৫০,০০০ টাকা যোগার করে নেমে পরলাম ক্লিক মারতে। মনে মনে ভাবলাম আমারে আর ঠেকাই কে? খালি টাকা আর টাকা। বাবা মার অমতে আমার প্রেমিকাকে বিয়েও করে ফেললাম।
কিন্তু আমার ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। ৩-৪ মাস পরে ক্লিক কোম্পানি উধাও। নেমে এলাম বাস্তবের জমিনে।

হতাশাঃ

শুরু হল জীবন সংগ্রাম। জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠল। আগে কোচিং করাতাম। বিয়ের পর সেটা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম বলে লোকলজ্জার ভয়ে সেটা আর ব্যক্তিগতভাবে চালু করতে পারিনি। কয়েকটা বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল ক্লিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর। তারা শুধু বলত ভাই কাজ দিব তোমাকে। এভাবে কেটে গেল ৩-৪ মাস। কিন্তু কাজ আর পেলাম না। প্রচন্ড টাকার অভাব দেখা দিল। সেই দিন গুলো বর্ণনা করার ভাষা আমার নাই। শুধু একটা উদাহরন দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন। আমার স্ত্রী কলেজে পড়ে। একদিন ১০ টা মাত্র টাকার জন্য আমার স্ত্রী কলেজে যেতে পারেনি।

সংগ্রামঃ

লোকলজ্জার ভয় ফেলে আমার এক ছোট ভাইয়ের কোচিং এ আবার পড়ানো শুরু করলাম। এত হতাশার মাঝেও আমি কিন্তু হাল ছারিনি। একদিন এক ভাইয়ের কাছে থেকে টেক-ইনফো বিডি নামের একটা ওয়েব সাইটের কথা শুনলাম। সেখান থেকে পেলাম টেকটিউনসের সন্ধান। এখানে এসে আমার উপলব্ধি হল যে আমি একজন মূর্খ। আমি আসলে কিছুই জানি না। তারপর বিভিন্ন ব্লগ পড়ে, গুগলে খুঁজে অনেক কিছু শিখতে লাগলাম। কিন্তু শিখতে গেলে তো মডেমে টাকা তুলতে হবে। সেই টাকা যোগাড় করাও আমার কাছে ছিলো কষ্টসাধ্য। এরপর captcha2cash নামক একটা ওয়েব সাইটে ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ শুরু করলাম। ১০০০ ক্যাপচার জন্য $১। কিন্তু আসলে তারা ২০০০ ক্যাপচা এন্ট্রি করলে $১ দিত যা করতে আমার প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগত। ও হ্যাঁ এর মধ্যে ওডেস্কে একটা অ্যাকাউন্টও করেছিলাম। কিন্তু প্রোফাইলটা ছিল হ-য-ব-র-ল। পরে টেকটিউনসে বিভিন্ন লেখা পড়ে আমার প্রোফাইলটাকে মোটামোটি একটা লুক দিলাম। শুরু করলাম বিড আর বিড। এক সময় বিড করতে করতে যখন আমার পীঠ বাঁকা হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল তখন আশা ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম ব্লগিং শুরু করব। অন্তত বিড করার ঝামেলা নাই।\


ঠিক তখনি আমার পরিচিত এক ছোট ভাই(ওডেস্কে আমার সিনিয়র) একটা মারাত্মক সাজেশন দিল। ও আমাকে বলেছিল ভাই জীবনে যাই করেন, সেইটা প্রফেশনাল ভাবে করেন। ব্যাস! এই একটা কথায় আমাকে বদলে দিল। এরপর শুধু একটা কথায় মাথায় রেখেছি। ফ্রিল্যান্সিংই হবে আমার ক্যারিয়ার। যে করেই হোক আমি একদিন সফল হবই ইনশাল্লাহ।

সফলতার শুরু যেখানেঃ

আমি আমার প্রোফাইলটা আরেকটু ঘষামাজা করে আবার নতুন টেকনিকে বিড করা শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে এক সপ্তাহের মধ্যেই আমার প্রথম কাজটা পেয়ে গেলাম।
কাজটা হল eBay Australia এর প্রোডাক্ট অ্যানালাইসিস এবং রিসার্চ করা। প্রথম ২ দিন কাজটা বুঝতে পারিনি। তাছাড়া প্রথম কাজ বলে আমি একটু উত্তেজিতও ছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্য ভাল ছিল। কারন আমার বায়ার অসাধারন ভাল ছিল। সে আমাকে কাজের সব কিছুই ২-৩ বার ভাল করে বুঝিয়ে দিল। এবং আমি কাজটা করতে সমর্থ হলাম। সে ৪ জনকে হায়ার করেছিল। তার মধ্যে আমিই সবচাইতে বেশী কাজ করি। কাজটা ছিল $১/ঘণ্টা। আমি ৭০ ঘন্টা কাজ করেছিলাম। বায়ার আমার কাজে খুশি হয়ে আমাকে ৫ * ফিডব্যাক দিল এবং খুব ভাল একটা কমেন্ট করল।
এবার ভাবলাম আরতো চিন্তা নাই। আমার আর কাজের অভাব হবেনা। কিন্তু না অভিজ্ঞতা কম বলে পরবর্তী ২ মাসে আর কাজ পেলাম না ওডেস্কে। এদিকে fiverr.com একটা অ্যাকাউন্ট করে কয়েক দিনের মধ্যে ১০ টা কাজ পেলাম। এরপর ওডেস্কে আবার শুরু করলাম তুমুল প্রফেশনালভাবে। এইবার শুধু কাজ করা নয়, কাজ পাওয়ার এবং কাজ ধরে রাখারও কিছু টেকনিক শিখলাম।

বর্তমানঃ

এখন আল্লাহর রহমতে কাজ সব সময় থাকে। আমি মুলত ওয়েব রিসার্চ এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করি। মাঝে মাঝে কাজের চাপ খুব বেড়ে যায়। মাসে ২০০ ঘন্টার বেশি কাজ করিনা। কারন আমার একটা ব্লগ আছে। ওইটাতে একটু সময় দেই। কোন এস,ই,ও না করেও শুধুমাত্র কনটেন্টের জোরে সেদিনের সেই মূর্খ লোকটার ব্লগ এখন গুগলের প্রথম পাতায় ২য় অবস্থানে আছে কয়েকটা কিওয়ার্ডের জন্য।
আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া। আর আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

উপসংহারঃ

আমি কোন প্রতিষ্ঠান বা বড় ভাইয়ের থেকে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শিখিনি। যা শিখেছি তা সবই ইন্টারনেট থেকে। টেকটিউনসেরও বড় অবদান আছে এতে। ধন্যবাদ টেকটিউনস পরিবারের সকল ব্লগারদের যারা বিনা স্বার্থে মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ ধন্যবাদ জানাই আমার ছোট ভাই মাহবুব আর ফিহাদকে যারা আমার বিপদে সাহায্য করেছে।
পরিশেষে একটা কথায় বলবো পরিশ্রম করুন সফলতা আসবেই। কারন আল্লাহ কেবল পরিশ্রমী ব্যাক্তিদেরই ভাগ্য পরিবর্তন করে।

 টিউন করেছেন : মাহমুদুল হাসান | প্রকাশিত হয়েছে : 8 April, 2013 on 10:42 pm |
বিস্তারিত পড়ুন »

ঘরে বসে আয় করতে পারবেন খুব সহজে আমাদের সাইটের সাথে

0 মন্তব্য(গুলি)
ঘরে বসে আছেন কাজ পাচ্ছেন না। আর নয় বসে থাকা । আসুন আমাদের সাথে যোগ দিন এবং হয়ে উথুন একজন শফল টিউনার। আমদের সাথে কাজ করতে পারবে যে কেও যেকোনো বয়সী।এই সাইট স পোস্ট করা খুব সহজ শুধু একজন সদস্য হোন। বদলে আপনার সকল লেখা প্রকাশিত হবে আমাদের সাইটে শুধু তাই নয় আমাদের সাথে কাজ করার সুবিধা অনেক। ঘরে বসে আয় করতে পারবেন খুব সহজে আর দেরি না করে এখনই সদস্য হইয়ে যান বিনামুল্যে। কতৃপক্ষ (আই ম্যাগাজিন বিডি)দ্বারা আয়োজিত। ধন্যবাদ। বিস্তারিত জানতে মোবাইল করুন ০১৭২১০৩৩৩০৭ এই নাম্বারে
বিস্তারিত পড়ুন »

পাসপোর্ট নবায়ন/সংযোজন/সংশোধন সংক্রান্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন উত্তর

0 মন্তব্য(গুলি)
সালাম সবাইকে। কিছু জিনিশ আছে যেগুলো প্রযুক্তি সম্পর্কিত না হলেও আমাদের নিত্য দিনের খুব প্রয়োজনীয় এবং জেনে রাখা প্রয়োজন। যেমন একটি বিষয় হতে পারে পাসপোর্ট। এটি নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে কিন্তু আমরা সঠিক উত্তর খুজে পাইনা। তাই আজকে পাসপোর্ট নিয়ে চমৎকার কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি যেখনাএ আপনি জেনে নিতে পারবেন কিভাবে পাসপোর্ট নবায়ন/সংযোজন/সংশোধন করতে পারবেন।
২) ডাকযোগে পাসপোর্ট নবায়ন/সংযোজন/সংশোধন এর কোনো ব্যবস্থা কি আছে?
উঃ ডাকযোগে পাসপোর্ট নবায়ন ও সংশোধন এর সুবিধা আছে কিন্তু সংযোজন এর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট-ধারীকে অবশ্যই বেইজিং এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
৩) পাসপোর্ট নবায়ন/সংযোজন/সংশোধন এর জন্য কি কি নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে?
উঃ নবায়ন- পাসপোর্ট নবায়ন এর জন্য পাসপোর্ট-ধারী বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে আবেদনপত্র দূতাবাসের ঠিকানায় পাঠিয়ে নবায়ন এর কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
সংযোজন-সংযোজন এর জন্য পাসপোর্ট-ধারীকে অবশ্যই বেইজিং এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে।
সংশোধন- পাসপোর্টে কোন ভুল থাকলে সেটা পরিবর্তনের জন্য পাসপোর্ট-ধারীকে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (ফার্স্ট সেক্রেটারি) বরাবর একটি দরখাস্ত লিখতে হবে এবং সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
৪) সর্বোচ্চ কত বছর এবং সর্বনিম্ন কত বছরের জন্যে পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে?
উঃ সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং সর্বনিম্ন ১ বছরের জন্যে পাসপোর্ট নবায়ন করা যাবে তবে পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ হতে পাসপোর্টের মেয়াদ সর্বমোট ১০ বছর অতিবাহিত হলে পাসপোর্ট-ধারীকে অবশ্যই নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
৫) আমার পরিচিত কেউ কি আমার প্রতিনিধি হয়ে আমার পাসপোর্ট  নবায়ন/সংযোজন/সংশোধন করতে পারবে?
উঃ হ্যাঁ,  অন্য কেউ প্রতিনিধি হয়ে আপনার পাসপোর্ট  নবায়ন ও সংশোধন করতে পারবে কিন্তু সংযোজন এর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট-ধারীকে অবশ্যই বেইজিং এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
৬) চীনে অবস্থানরত অবস্থায় পাসপোর্ট এর পাতা শেষ হয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট এর জন্যে কি কি তথ্যাদি/ডকুমেন্ট এবং কয় কপি ছবি দিতে হবে?
উঃ এক্ষেত্রে ৬ কপি ছবি এবং পাতা শেষ হয়ে যাওয়া পাসপোর্ট এর ফটোকপি বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দিয়ে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। ডাকযোগেও আবেদন করা যাবে।
৭) চীনে এসে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে প্রয়োজনীয় কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নতুন পাসপোর্ট এর জন্যে কি কি কাগজপত্র/ডকুমেন্ট লাগবে?
উঃ পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সর্বপ্রথমে নিকটস্থ পুলিশকে অবহিত করতে হবে এবং সেখান থেকে একটি পুলিশ রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। এরপর পুলিশ রিপোর্ট, হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি ও ৬ কপি ছবি বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
৮) সপ্তাহে কয়দিন কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত পাসপোর্ট নবায়ন/সংযোজন/পরিবর্তন এর জন্যে আবেদন করা যাবে?
উঃ সপ্তাহে ৫ দিন সোম থেকে শুক্র সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাসপোর্ট নবায়ন/সংযোজন/পরিবর্তন এর জন্যে আবেদন করা যাবে।
৯) Machine Readable Passport পাসপোর্ট এর জন্যে কিভাবে আবেদন করতে হবে?
উঃ Machine Readable Passport এর জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে আবেদনপত্রের সাথে ১ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম-নিবন্ধন পত্রের ফটোকপি সহ বেইজিং এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। এর জন্য সময় লাগবে ২১-২৮ দিন। উল্লেখ্য যে, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাতায় যে ছবি থাকবে সেটি দূতাবাসে আবেদনের সময় তোলা হবে। পূর্বে তোলা কোন ছবি গ্রহণযোগ্য হবেনা।
২০১৪ সাল থেকে হস্তলিখিত পাসপোর্ট আর গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই ২০১৪ সালের মধ্যে সকলের  Machine Readable Passport সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক।
১০) পাসপোর্ট নবায়ন/সংযোজন/সংশোধন এর জন্য নির্ধারিত ফি সমূহ:
 নবায়ন:  ৫ বছরের জন্য- 
সাধারণ ফি- ৮৮০ ইউয়ান   সময়- ৭ দিন
জরুরী ফি- ১৩২০ ইউয়ান   সময়- ১ দিন (হস্তলিখিত পাসপোর্টের ক্ষেত্রে)
সংযোজন:
সাধারণ ফি- ৮৮০ ইউয়ান  সময়-  ৭ দিন
জরুরী ফি-  ১৩২০ ইউয়ান  সময়- ১ দিন (হস্তলিখিত পাসপোর্টের ক্ষেত্রে)
সাধারণ ফি- ৮৮০ ইউয়ান  সময়- ২১-২৮ দিন (Machine Readable Passport এর ক্ষেত্রে)
সংশোধন/পরিবর্তন:
সাধারণ ফি- ১০০ ইউয়ান  সময়- ২১-২৮ দিন (Machine Readable Passport এর ক্ষেত্রে)
বিস্তারিত পড়ুন »

গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে সন্দেহবাজন অসংখ্য ব্লগার

0 মন্তব্য(গুলি)
সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা এসব ব্লগার ও ব্লগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। যেকোনো সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারেও বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা ব্লগগুলো হচ্ছে- স্যামহোয়ার, আমার ব্লগ, মুক্তমনা, নাগরিক, ধর্মকারী, নবযুগ, সচলায়তন, চুতরাপাতা ও মতিকণ্ঠ ব্লগসহ ১০টি।তবে তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা ব্লগারদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে বেশ কয়েকটি ব্লগ ও ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ব্যঙ্গাত্মক লেখালেখির কারণে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে। কোনো ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ থাকার পরও এসব ব্লগার ও ব্লগ এ ধরনের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এখনই এসব রুখতে না পারলে দেশে বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হতে পারে বলে উল্লিখিত প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।


এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পরই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এসব ব্লগার ও ব্লগের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। বিভিন্ন ব্লগে ও ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে উস্কানিমূলক লেখালেখির কারণে রাজধানীতে গত তিনদিনে চার ব্লগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে সুব্রত অধিকারী শুভ, মশিউর রহমান বিপ্লব ও রাসেল পারভেজকে সাতদিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদিকে হেফাজতে ইসলামের দাবিকৃত সবচেয়ে বড় নাস্তিক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকেও ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যেকোনো সময় তাকে রিমান্ডে নিয়ে আনা হবে বলে জানা গেছে।
চার ব্লগারকে গ্রেফতার করায় আতঙ্ক বিরাজ করছে নাস্তিকতায় অভিযুক্ত ব্লগারদের মধ্যে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ ব্লগার তাদের ব্লগ এবং ফেসবুক থেকে বিতর্কিত লেখা ও মন্তব্য মুছে ফেলতে শুরু করেছে। একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা  জানান, যেসব ব্লগার ও ব্লগ নজরদারিতে রয়েছে সেসব ব্লগার ও ব্লগে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ লেখা ও মন্তব্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণকে নিয়েও বাজে মন্তব্য করা হয়েছে।
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বিভিন্ন লেখালেখির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। যারা ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে লিখবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইনউদ্দিন খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ জানানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ই-মেইল (complainmoha@gmail.com) একাউন্ট খুলেছে।

বিস্তারিত পড়ুন »
 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার