মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০৯

0 মন্তব্য(গুলি)

সিঙ্গেল থাকার রহস্য

পদা: হ্যাঁ রে গদা, জীবনে একটা মেয়ের সাথে প্রেম করলাম আর তাকেই শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে হলো। আর তুই কিনা এই বয়সেও একটার পর একটা প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিল অথচ একটাও বিয়ে করা লাগলো না! রহস্য কী?
গদা: আমি মেয়েদের সাথে সঠিক ব্যবহার করি।

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রূপকথা

বহু বহু বছর আগের কথা। এক দেশে ছিল এক ছেলে আর এক মেয়ে। একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করিল, ‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’
মেয়েটি উত্তর দিল, ‘না।’
অতঃপর ছেলেটি সুখে-শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।

কানে কম শোনে

রণন আর নাছের দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
রণন: বুঝলি নাছের, সুলেখাকে আমি ভালোবাসতাম, কিন্তু এখন আর বাসি না।
নাছের: কেন?
রণন: মেয়েটা কানে কম শোনে।
নাছের: কী করে বুঝলি?
রণন: আমি ওকে বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর ও বলল, আমার পায়ের স্যান্ডেলটা নতুন!

গাধা কে

শাকিল আর চামেলী একে অন্যকে ভালোবাসে। চামেলী শাকিলকে নিয়ে গেল তার বাবার কাছে।
বাবা: না না না! আমি চাই না, আমার মেয়ে একটা গাধার সঙ্গে তার জীবন কাটাক।
শাকিল: সে কারণেই তো আপনার মেয়েকে আপনার কাছ থেকে নিয়ে যেতে চাইছি!

বিক্রয়কর্মী

প্রেমিকার জন্য আংটি কিনতে জুয়েলারির দোকানে গেছে নাহিন।
নাহিন: একটা আংটি দেখান তো। আমার হবু বউকে দেব।
দোকানদার: দামি কিছু দেখাব?
নাহিন: আরে না, কম দামি হলেই হবে। কোনোমতে বিয়েটা সেরে ফেলতে পারলেই হলো। অত দামি আংটি দিয়ে কী লাভ?
পরদিন প্রেমিকার বাবার সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গেল নাহিন।
প্রেমিকা: এ কী, মাথা নিচু করে আছ কেন? তুমি যে এত লাজুক, তা তো আমার জানা ছিল না!
নাহিন: আমারও জানা ছিল না, তোমার বাবা একজন জুয়েলারির দোকানের বিক্রয়কর্মী!

বিস্তারিত পড়ুন »

হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০৮

0 মন্তব্য(গুলি)

পুরোপুরি সত্য না

কোচ বলছেন খেলোয়াড়কে, ‘তোমার রুমমেটের কাছে শুনলাম, তুমি নাকি গতকাল ঘুমের মধ্যে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলে, আর অভিশাপ দিচ্ছিলে? এ কথা কি সত্য?’
খেলোয়াড়: না স্যার, পুরোপুরি সত্য না।
কোচ: তাহলে কতটুকু সত্য?
খেলোয়াড়: আমি ঘুমাচ্ছিলাম—এটা মিথ্যা!

ফুটবল ম্যাচ

ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের দেয়াল বেয়ে ওঠার সময় দুই দর্শককে আটক করল পুলিশ।
পুলিশ: দেয়াল বেয়ে উঠছিলে কেন?
দর্শক: কী করব? আপনারা তো গেট বন্ধ করে দিয়েছেন।
পুলিশ: গেট বন্ধই থাকবে। ওপরের নির্দেশ আছে, খেলা শেষ হওয়ার আগে কোনো দর্শক যেন বের হতে না পারে! এখন যাও, গ্যালারিতে বসো আর বাকি খেলা দেখ!

ছাত্রদের ফুটবল টুর্নামেন্ট

স্কুলে আট বছর বয়সী ছাত্রদের ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। খেলার মাঝখানে এক খেলোয়াড়কে ডেকে নিলেন কোচ।
কোচ: যা বলছি, মন দিয়ে শোনো। ফাউল হলেই রেফারির দিকে তেড়ে যেতে হয় না।
খেলোয়াড়: হুমম্।
কোচ: জয়-পরাজয় যা-ই হোক, সেটা খেলারই অংশ। হেরে গেলে তা নিয়ে উত্তেজিত হলে চলবে না।
খেলোয়াড়: হুমম্।
কোচ: আর কোচ যদি তোমাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে অন্য কাউকে খেলতে নামান, সেটা আরেকজনকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এটা খেলারই নিয়ম। এ জন্য কোচকে গালিগালাজ করা চলবে না। যা বলেছি সব বুঝতে পেরেছ?
খেলোয়াড়: হুমম্।
কোচ: গুড। এখন যাও আর তোমার মাকে এ কথাগুলো বোঝাও!

বুট পরা

পোকা আর পাখিদের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ হচ্ছে। প্রথমার্ধে পোকারা পাখিদের সঙ্গে মোটেই জুত করতে পারল না। ৩৭টা গোল খেল পোকাদের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘটল এক কাণ্ড। পোকাদের দলে কেন্নো এল খেলতে। এসেই সে হালি হালি গোল দেওয়া শুরু করল। শেষে দেখা গেল, কেন্নোর দেওয়া গোলে পোকারা জিতল ৭৭-৩৭ গোলে। পাখিদের তো মাথায় হাত। তাদের দলনেতা দোয়েল খেলা শেষ হলে পোকাদের দলনেতা গুবরেকে ডেকে বলল, ‘কেন্নো এত ভালো খেলে, তো ওকে তোমরা প্রথমার্ধে নামালে না কেন?’
গুবরে পোকা বলল, ‘আমরা তো নামাতেই চাইছিলাম, কিন্তু ব্যাটা সেই যে গত রাত থেকে বুট পরা শুরু করেছে আর আজকে খেলার অর্ধেক শেষ হওয়ার পর তার বুট পরা শেষ হয়েছে। তাই ওর আসতে দেরি হয়ে গেল।’

সরাসরি সম্প্রচার

বহু বছর ধরে টিভিতে খেলা দেখে অভ্যস্ত এক লোক জীবনে প্রথম গেল স্টেডিয়ামে। খেলা শুরুর আগে গ্যালারিতে বসে পাশের দর্শককে জিজ্ঞেস করল সে, ‘ভাই, আজকের ম্যাচটা কি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে? নাকি রেকর্ড করা অবস্থায়?’
বিস্তারিত পড়ুন »

হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০৭

0 মন্তব্য(গুলি)

দেরি

এক অফিসের বস অত্যন্ত বদরাগী। কর্মচারীরা সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকে এবং প্রতিদিন সময়মতো অফিসে হাজির হয়। একদিন এক কর্মচারী এক ঘণ্টা পর অফিসে প্রবেশ করলেন। তাঁর কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা, জামাকাপড়ে ধুলোবালি।
বস: কী ব্যাপার? আজ এত দেরি কেন?
কর্মচারী: স্যার, আমি সময়মতোই অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু অফিসের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম।
বস: এখন নিশ্চয়ই বলবেন, আপনি এক ঘণ্টা ধরে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ছিলেন?

ছুটি

কর্মচারী: স্যার, আমার একদিনের ছুটি দরকার।
বস: বছরে ৩৬৫ দিনে প্রতি সপ্তাহে দুদিন করে ৫২ সপ্তাহে আপনি সাপ্তাহিক ছুটি পান মোট ১০৪ দিন। বাকি রইল ২৬১ দিন। প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা আপনি অফিসের বাইরে কাটান। সে হিসাবে আপনি অফিসের বাইরে থাকেন মোট ১৭০ দিন। বাকি রইল ৯১ দিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে আপনাকে চা পানের বিরতি দেওয়া হয়। হিসাব অনুযায়ী, রইল বাকি ৬৮ দিন। প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে আপনাকে দুপুরের খাবারের বিরতি দেওয়া হয়। রইল বাকি ২২ দিন। দুদিন আপনি অসুস্থতার জন্য ছুটি কাটান। রইল ২০ দিন। বছরে ১৯ দিন থাকে সরকারি ছুটি, রইল আর ১ দিন।
সেই একটা দিনও আপনি ছুটি কাটাতে চান?!

মৃত্যুর পরের জনমে বিশ্বাস

বস বলছেন কর্মচারীকে, ‘আপনি কি মৃত্যুর পরের জনমে বিশ্বাস করেন?’
কর্মচারী: জি স্যার।
বস: হুমম্, করারই কথা। গতকাল আপনি মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার পর আপনার মা অফিসে এসেছিলেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে!

মশা মারা

হাবলু ও সঞ্জুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
সঞ্জু: কী রে, তুই অফিসে না গিয়ে এভাবে বসে আছিস কেন?
হাবলু: আর বলিস না। বড় কর্তা অফিসে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। বস আমার ওপর খুব খেপা।
সঞ্জু: কেন?
হাবলু: অফিসে কাজ করার সময় একটা মশা মেরেছিলাম, এ কারণে হবে হয়তো।
সঞ্জু: শুধু একটা মশা মারার কারণে এই শাস্তি! তোর বড় কর্তা তো লোক ভালো না।
হাবলু: আরে বোকা, রেগেছেন কী সাধে! মশাটা যে উনার গালের ওপর বসে ছিল।

দুর্ঘটনা

বস-কর্মকর্তার মধ্যে কথা হচ্ছে—
কর্মকর্তা: স্যার, এবার আমার বেতনটা একটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো।
বস: কেন?
কর্মকর্তা: গত সপ্তাহে বিয়ে করেছি। তাই আগের বেতনে দুজনের চলাটা বেশ কষ্ট হবে, স্যার।
বস: শুনুন, অফিসের বাইরের কোনো দুর্ঘটনার জন্য অফিস কোনোভাবেই দায়ী নয়। আর তার জন্য জরিমানা দিতেও অফিস রাজি নয়।


বিস্তারিত পড়ুন »

হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০৬

0 মন্তব্য(গুলি)

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছি

এক বিদেশির সঙ্গে রাজনীতি এবং গণতন্ত্র বিষয়ে কথা হচ্ছিল এক বাংলাদেশির। কথায় কথায় বিদেশি বললেন, একবার রাস্তায় আমাদের এলাকার নেতার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। সবার সামনে উঁচু গলায় আমি বললাম, ‘নির্বাচনের সময় তো অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এলাকার রাস্তা সংস্কার করবেন, ছিনতাই হ্রাস করবেন। কই, এখন তো এসবের কিছুই দেখছি না।’ এ কথা বলার পর প্রথম দিন কোনো উন্নতি দেখলাম না, দ্বিতীয় দিনও কোনো উন্নতি দেখলাম না। তৃতীয় দিনে গিয়ে দেখলাম, রাস্তা সংস্কার শুরু হয়েছে। ছিনতাই রোধে রাস্তায় পুলিশের প্রহরা বসেছে।
বাংলাদেশি বললেন, আমারও একদিন আপনার মতোই আমাদের এলাকার নেতার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমিও সবার সামনে জোর গলায় প্রতিবাদ করেছি, দাবি জানিয়েছি। প্রথম দিন কোনোই উন্নতি দেখলাম না। দ্বিতীয় দিনও কোনো উন্নতি দেখলাম না। তৃতীয় দিন চোখ মেলে দেখলাম, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছি। ডান হাতটা তখনো নাড়াতে পারছিলাম না…!

পাগল হয়ে গেছ

বাবা: পিন্টু! তুমি যদি এখনই খেলা বন্ধ না করো, আমি পাগল হয়ে যাব।
পিন্টু: বাবা, আমার ধারণা তুমি ইতিমধ্যেই পাগল হয়ে গেছ। আমি খেলা বন্ধ করেছি আরও আধঘণ্টা আগে। এখন তো কেবল খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখছিলাম।

মাউস কেমন শব্দ করে

শিক্ষক প্রশ্ন করলেন: বলো তো বাচ্চারা, কাউ কেমন শব্দ করে?
বাচ্চারা সমস্বরে উত্তর দিল: হাম্বা।
শিক্ষক বললেন: গুড! এখন বলো তো, গোট কেমন শব্দ করে?
বাচ্চারা বলল: ভ্যাএএ।
শিক্ষক: গুড! এখন বলো তো, মাউস কেমন শব্দ করে?
বাচ্চারা: ক্লিক!

ইহাকে বলে পলিটিক্স

হোসেন আলী আর মজনু মিঞা, দুজন দুই দলের সমর্থক। একবার দুজন এক হোটেলে বসে খাচ্ছিলেন। খেতে খেতে হোসেন আলী বললেন, আমরা কেন তোমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকি জানো? খেয়াল করে দেখো, খাওয়া শেষে আমি পুরো ৫০ টাকা বখশিশ দেব এবং বলব, ‘ভোটটা কিন্তু লেবু মার্কায়ই দিয়ো।’
মজনু মিঞা বললেন, আমিও কিন্তু তোমাদের লেবু মার্কায়ই ভোট চাইব। তবে বখশিশ হিসেবে দেব একটা অচল দুই টাকার নোট!

৩ নম্বর ভোট

হাশেম আলীর শখ হয়েছে নির্বাচনে দাঁড়াবেন। যথারীতি দাঁড়িয়েও গেলেন। ভোট গণনা শেষে দেখা গেল, হাশেম আলী ভোট পেয়েছেন মোটে তিনটি। ঝাঁটা হাতে ছুটে এলেন তাঁর স্ত্রী। রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, ‘মিনসের ঘরে মিনসে, তোমার নিশ্চয় অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে লটরপটর আছে! নইলে ৩ নম্বর ভোটটা দিল কে?!’


বিস্তারিত পড়ুন »

হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০৪

0 মন্তব্য(গুলি)

গোপালের শাস্ত্র বিচার

শেখ আমীরশাহ খুব বিচক্ষণ মৌলবী ছিলেন। হিন্দুশাস্ত্রেও তাঁর বেশ দখল ছিল। তারই জোরে গোপালকে তিনি অনেক সময়ে ঠকাবার চেষ্টা করেন। অবশ্য তার ফলে নিজেই জব্দ হতেন সর্বদা। কিন্তু তাতে লজ্জা নেই তাঁর। বার বার গোপালকে ঠকাবার চেষ্টা করেও বুদ্ধিমান গোপালকে কোনমতেই ঠকানো যায় না বরং শেখ আমীরশাহই বারবার ঠকেন।
একদিন গোপান ভিন গাঁয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে গেছেন। শেখ আমীরশাহও সেই বন্ধুর বাড়িতে সেইদিন নিমন্ত্রিত। গোপাল গিয়ে বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছে দেখেন শেখ আমিরশাহ ভোজনে বসেছেন। গোপাল জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী খাচ্ছেন মৌলবী সাহেব?’
শেখ সাহেব শাস্ত্রের মারফত রসিকতা করবার লোভ সামলাতে পারলেন না এবার। বললেন, ‘এই যে গোপাল, তোমাদের অবতার ভোজন করছি।’ তিনি মাছ খাচ্ছিলেন, এবং মৎস্য হলো দশ-অবতারের প্রথম অবতার।
গোপালেরও শাস্ত্রজ্ঞান বেশ প্রখর। একথা শেখ সাহেব বেশ ভালোভাবেই জানেন।
গোপাল অর্থটা অন্যরকম বুঝবার ভাণ করলেন। তিনি বললেন, ‘অবতার? তৃতীয় অবতার নিশ্চয়ই?’
শেখ সাহেব ‘তোবা, তোবা’ করে লাফিয়ে উঠলেন ভোজন ত্যাগ ক’রে। কারণ হিন্দুদের তৃতীয় অবতার হলো–বরাহ বা শূকর অবতার এবং শূকরের মাংশ হলো মুসলমানদের পক্ষে নিষিদ্ধ খাদ্য।
বেশি জব্দ হয়েই সেদিন শেখ সাহেবকে উপোসেই থাকতে হলো। কারণ তিনি সেদিন আর কিছু খেতে পারলেন না। এদিকে গোপাল বন্ধুর বাড়িতে বেশ পেট ভরেই খেয়ে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বিদায় নিলেন। এবারও শেখ সাহেব হলেন ভীষণ জব্দ। তিনি খুব ব্যথিত হয়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন আর কোনদিনও গোপালের সঙ্গে খারাপ রসিকতা বা খারাপ ব্যবহার করবেন না।

সাইরেন

পথ ধরে যাচ্ছিলেন শফিক। হঠাৎ দেখলেন, ছোট্ট একটা ছেলে মাথায় লাল টুপি আর লাল পোশাক পরে কী যেন খেলছে। ছেলেটার কাঁধে একটা ছোট মই। হাতে দড়ি। দড়ির অপর প্রান্ত একটা কুকুরের লেজের সঙ্গে বাঁধা।
শফিক: খোকা, কী খেলছ?
খোকা: দেখছেন না, আমি একজন দমকলকর্মী। আর এই কুকুরটা, এটা আমার গাড়ি।
শফিক: বাহ্! খুব ভালো। তবে আমার মনে হয়, তুমি যদি দড়িটা লেজে না বেঁধে গলায় বাঁধতে, তাহলে তোমার গাড়িটা দ্রুত চলত।
খোকা: তা ঠিক বলেছেন। তবে তখন আর দড়ি ধরে টানলেই সাইরেন বাজত না!

গাড়ির ব্রেক

আজিজ মিঞার কারখানায় আগুন লেগেছে। জলদি আগুন নেভাতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আজিজ খবর দিলেন দমকলকর্মীদের।
চটজলদি হাজির হলো দমকল বাহিনী। কারখানার সামনের ছোট গলিটার দুপাশের দোকানগুলো ভেঙে, সদর দরজা গুঁড়িয়ে দিয়ে, দেয়াল ভেঙে সোজা অগ্নিকুণ্ডের স্থলে গিয়ে থামল গাড়ি! প্রচণ্ড ঝাঁকি খেয়ে গাড়ির পেছনে রাখা পানির টাংকিটা ছিটকে গিয়ে পড়ল আগুনে। ব্যস, নিভল আগুন।
দমকলকর্মীদের তৎপরতা দেখে ভীষণ খুশি আজিজ। তিনি দমকল বাহিনীর প্রধানের হাতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই টাকা দিয়ে আপনারা কী করবেন বলুন তো?’
দমকল বাহিনীর প্রধান: প্রথমেই গাড়ির ব্রেকটা ঠিক করাব!

কমোডে মাথা

এক দুষ্ট ছেলে থানায় ফোন করেছে।
- এইটা কি পুলিশ স্টেশন?
- হ্যাঁ।
- আপনি কি পুলিশ?
- হ্যাঁ।
- আপনার থানায় বাথরুম আছে?
- হ্যাঁ।
- আপনার বাথরুমে কমোড আছে?
- হ্যাঁ, আছে।
- তাহলে কমোডের মধ্যে মাথা ঢুকাইয়া বইসা থাকেন। এই বলে ছেলেটি ফোন কেটে দিল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ নাম্বার বের করে কলব্যাক করল। ছেলেটির বাবা ফোন ধরল।
পুলিশ অভিযোগ করল, আপনার ছেলে আমাকে কমোডে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকতে বলেছে।
- কতক্ষণ আগে বলেছে?
- এই ধরেন ১০ মিনিট।
- তাহলে এখন মাথা বের করে ফেলেন।
বিস্তারিত পড়ুন »

হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০৩

0 মন্তব্য(গুলি)

ফ্যামিলি চোর

কোর্টে জজ সাহেব চোরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি একই বাড়িতে এই নিয়ে কুড়িবার চুরি করতে গেলে। এর কারণ কী?’
চোর হাসতে হাসতে জবাব দিল, ‘স্যার, আমি ওই বাড়ির ফ্যামিলি চোর।’



নকল টাকা

বিচারক আসামিকে:
—নকল টাকা বানিয়েছিলেন কেন?
—আসল টাকা বানাতে শিখিনি বলে।

ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম

সড়ক দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে সঞ্জুকে আদালতে হাজির করা হয়েছে—
বিচারক: কীভাবে ঘটালেন দুর্ঘটনাটা?
সঞ্জু: কোন দুর্ঘটনা?
বিচারক: কেন, যে দুর্ঘটনাটির জন্য আপনি আদালতে?
সঞ্জু: ওই সময় আমি জেগে থাকলে না হয় বলতে পারতাম। কিন্তু হুজুর, আমি তো ওই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।

অভিযুক্ত ব্যক্তি

মুরগি চুরির মামলা চলছে। আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মানুষটাকে বিচারক প্রশ্ন করলেন, ‘তুমিই কি অভিযুক্ত ব্যক্তি?’
লোকটা জবাব দিল, ‘জি না, স্যার, আমি হচ্ছি সেই লোক, যে মুরগিগুলো চুরি করেছে।’

আপনিই বলে দিন

বিচারক : তোমার বয়স কত?
আসামি : সাত বছর
বিচারক : এটুকু বয়সেই পকেটমার শুরু করেছ?
আসামি : তা হলে আপনিই বলে দিন কত বছর বয়স থেকে শুরু করব?






বিস্তারিত পড়ুন »

হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০২

0 মন্তব্য(গুলি)
হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০১  আমদের জীবনে হাসির খুব অভাব তাই হাসতে হাসাতে হাজির হলাম। হাঁ......হা......হা........হা....হি...হি...হি      

 

এক ডজন উকিল

একজন শিক্ষক গেছেন নাপিতের দোকানে চুল কাটাতে। চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন, ‘আপনি একটি মহৎ পেশায় নিয়োজিত। আপনার কাছ থেকে আমি টাকা নেব না স্যার।’
শিক্ষক খুব খুশি হলেন। পরদিন সকালে নাপিত দোকানে এসে দেখেন, দোকানের সামনে শিক্ষক এক ডজন বই রেখে গেছেন। সেদিন চুল কাটাতে এল এক পুলিশ। চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন, ‘আপনি জনগণের সেবক। আপনার কাছ থেকে কী করে টাকা নিই?’ পুলিশ খুশি হয়ে পরদিন নাপিতের দোকানের সামনে এক ডজন কমলা রেখে গেলেন।
পরদিন নাপিতের দোকানে এলেন এক উকিল। নাপিত উকিলের কাছেও টাকা রাখলেন না। বললেন, ‘আপনি ন্যায়ের জন্য লড়াই করেন। আপনার কাছে আমি টাকা নেব না, স্যার।’
পরদিন দেখা গেল, এক ডজন উকিল নাপিতের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে!


চুল খুঁজে বের করার মজুরি

মতিন সাহেবের মাথায় চুল নেই বললেই চলে। বেচারা চুল কাটানোর পর দোকানদার তাঁর কাছে ৫০ টাকা দাবি করে বসলেন। মতিন সাহেব বললেন, ‘আমি তো প্রায় টাক। আমার চুল কাটার মজুরি ৫০ টাকা চাইছেন কেন?’
নাপিত: ‘স্যার, চুল কাটার জন্য তো ৩০ টাকা। বাকি ২০ টাকা আপনার চুল খুঁজে বের করার মজুরি!’


শিশুপার্কের ঘোড়া

সরদারজি ঘোড়ার পিঠে চাপলেন। ঘোড়া ছুটতে শুরু করল। প্রথম প্রথম মজাই পাচ্ছিলেন সরদারজি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন ঘোড়ার দৌড়ের বেগ বেড়ে গেল, ঘাবড়ে গেলেন তিনি। ঘোড়ার গলা আঁকড়ে ধরলেন, তাতেও খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না। এদিকে এই দৃশ্য দেখে তারস্বরে চেঁচাতে শুরু করলেন সরদারজির স্ত্রী, ‘বাঁচাও! বাঁচাও! কে কোথায় আছ, আমার স্বামীকে বাঁচাও!’
সরদারজি ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন! কোনোমতে গলা জড়িয়ে ধরে ঝুলে থাকলেন। চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন! ঘোড়ার গলা ছেড়ে দিলেই ধপাস, গুরুতর আহত হওয়ার আশঙ্কা! শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি! এখন উপায়?
এমন সময় এগিয়ে এলেন শিশুপার্কের এক কর্মী। তিনি ঘোড়ার রাইডের বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিলেন। সরদারজি প্রাণে বাঁচলেন!


মাথা শেভ

পল্টু: এখানে চুল কাটাতে কত টাকা লাগে?
নাপিত: ৪০ টাকা।
পল্টু: আর শেভ করতে?
নাপিত: ২০ টাকা।
পল্টু: আমার মাথাটা একটু শেভ করে দিন!


ভয়ে চুল খাড়া

সেলুনে চুল কাটাতে গেছেন এক নেতা। নাপিত কাঁচি চালাতে চালাতে বলছেন, ‘স্যার, শুনলাম জনগণ নাকি আপনার ওপর খুব খ্যাপা। যেকোনো দিন আপনার বাড়িতে হামলা চালাইবে! আপনি নাকি ঘুষের টাকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় বানাইছেন…।’
নেতা ধমক দিকে বললেন, ‘এই ব্যাটা, চুপ থাক।’
পরদিন নাপিতের কাছে চুল কাটাতে এলেন এক সরকারি কর্মকর্তা। নাপিত তাঁর চুল কাটতে কাটতে বললেন, ‘স্যার, দুদক নাকি আপনারে খুঁজতেছে! যেকোনো দিন ক্যাক কইরা ধইরা জেলে ঢুকায় দিব! আপনি নাকি দুর্নীতি করেন!’
সরকারি কর্মকর্তাও নাপিতকে ধমক দিয়ে চুপ করালেন।
কয়দিন বাদেই নাপিতের দোকান ঘেরাও করল পুলিশ। নাপিতকে আটক করে বলল, ‘এই ব্যাটা, তুই নাকি তোর কাস্টমারদের আজেবাজে কথা বলিস? তোর উদ্দেশ্য কী?’
নাপিত আমতা আমতা করে বললেন, ‘স্যার! এসব কথা বললে ভয়ে ওনাদের চুল খাড়া হয়ে যায়। আমার চুল কাটতে সুবিধা হয়। তাই বলি!’

বিস্তারিত পড়ুন »

হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০১

0 মন্তব্য(গুলি)

 হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০১

 আমদের জীবনে হাসির খুব অভাব
তাই হাসতে হাসাতে হাজির হলাম।
হাঁ......হা......হা........হা....হি...হি...হি

 

মাইকেল জ্যাকসনের মতো চুল

নাপিতের দোকানে ঢুকেই এক লোক বললেন, ‘ভাই, আমার চুলটা মাইকেল জ্যাকসনের মতো করে দিন তো।’
নাপিত কাটতে শুরু করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লেন ভদ্রলোক। হঠাৎ ঘুম ভেঙে উঠে দেখলেন, চুলের যাচ্ছেতাই অবস্থা।
রেগেমেগে ভদ্রলোক বললেন, ‘সে কী! আমি না বললাম মাইকেল জ্যাকসনের মতো করে দিতে। আপনি এ কী হাল করেছেন!’
নাপিত বললেন, ‘ভাই, মাইকেল জ্যাকসন তো আর আমাদের এখানে চুল কাটান না। কাটালে ওনার চুলেরও এমন স্টাইলই হতো!

 

কখন চুল কাটাবেন

বাড়ির পাশের সেলুনে গেছেন করিম সাহেব।
নাপিতকে বললেন, ‘আমার ছেলেটার দুই বছর বয়স। ওর চুল কাটাব। কখন নিয়ে এলে ভালো হবে, বলুন তো?’
নাপিত: যখন ওর বয়স চার বছর হবে।

ব্যাংকের হিসাবরক্ষক

রেস্টুরেন্টে পরিচয় হলো রিমা আর সোহাগের। তারা দুজন একসঙ্গে চা খেল, খানিক গল্পগুজব করল, মোবাইল নম্বর নিল…এবং আধঘণ্টার মাথায় সোহাগ রিমাকে প্রেম নিবেদন করে বসল। বলল, ‘আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন?’
বিস্মিত রিমা বলল, ‘আমাদের পরিচয়ের এক ঘণ্টাও হয়নি। আপনি আমার সম্পর্কে কিছুই জানেন না, অথচ আমাকে বিয়ে করতে চাইছেন?’
সোহাগ বলল, ‘কে বলেছে জানি না? আপনার বাবা যে ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন, আমি সেই ব্যাংকের হিসাবরক্ষক।’

বাসায় কে কে আছেন

প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন—
প্রেমিক: আমি মনে হয় তোমাকে বিয়েটা করতে পারব না।
প্রেমিকা: এত দিন পর এ কথা বলছ কেন? কেন, কী হয়েছে বলো তো শুনি?
প্রেমিক: না, তেমন কিছু না। আমার বাসা থেকে নিষেধ আছে।
প্রেমিকা: তা তোমার বাসায় কে কে আছেন?
প্রেমিক: বেশি না। আমার এক স্ত্রী আর তিন সন্তান।

চিঠি

মানসিক হাসপাতালের এক রোগী একমনে কী যেন লিখছেন।
চুপি চুপি পেছনে এসে দাঁড়ালেন ডাক্তার। বললেন, কী হে, চিঠি লিখছেন নাকি?
রোগী: হু।
ডাক্তার: কাকে লিখছেন?
রোগী: নিজেকে।
ডাক্তার: বাহ্! ভালো তো। তা কী লিখলেন?
রোগী: আপনি কি পাগল নাকি মশাই? সবে তো চিঠিটা লিখছি। চিঠি পাঠাব, দুদিন বাদে চিঠিটা পাব, খুলে পড়ব। তারপর তো বলতে পারব কী লিখেছি!

বিস্তারিত পড়ুন »
 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার