হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০১
আমদের জীবনে হাসির খুব অভাব
তাই হাসতে হাসাতে হাজির হলাম।
হাঁ......হা......হা........হা....হি...হি...হি
এক ডজন উকিল
একজন শিক্ষক গেছেন নাপিতের দোকানে চুল কাটাতে। চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন, ‘আপনি একটি মহৎ পেশায় নিয়োজিত। আপনার কাছ থেকে আমি টাকা নেব না স্যার।’শিক্ষক খুব খুশি হলেন। পরদিন সকালে নাপিত দোকানে এসে দেখেন, দোকানের সামনে শিক্ষক এক ডজন বই রেখে গেছেন। সেদিন চুল কাটাতে এল এক পুলিশ। চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন, ‘আপনি জনগণের সেবক। আপনার কাছ থেকে কী করে টাকা নিই?’ পুলিশ খুশি হয়ে পরদিন নাপিতের দোকানের সামনে এক ডজন কমলা রেখে গেলেন।
পরদিন নাপিতের দোকানে এলেন এক উকিল। নাপিত উকিলের কাছেও টাকা রাখলেন না। বললেন, ‘আপনি ন্যায়ের জন্য লড়াই করেন। আপনার কাছে আমি টাকা নেব না, স্যার।’
পরদিন দেখা গেল, এক ডজন উকিল নাপিতের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে!
চুল খুঁজে বের করার মজুরি
মতিন সাহেবের মাথায় চুল নেই বললেই চলে। বেচারা চুল কাটানোর পর দোকানদার তাঁর কাছে ৫০ টাকা দাবি করে বসলেন। মতিন সাহেব বললেন, ‘আমি তো প্রায় টাক। আমার চুল কাটার মজুরি ৫০ টাকা চাইছেন কেন?’নাপিত: ‘স্যার, চুল কাটার জন্য তো ৩০ টাকা। বাকি ২০ টাকা আপনার চুল খুঁজে বের করার মজুরি!’
শিশুপার্কের ঘোড়া
সরদারজি ঘোড়ার পিঠে চাপলেন। ঘোড়া ছুটতে শুরু করল। প্রথম প্রথম মজাই পাচ্ছিলেন সরদারজি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন ঘোড়ার দৌড়ের বেগ বেড়ে গেল, ঘাবড়ে গেলেন তিনি। ঘোড়ার গলা আঁকড়ে ধরলেন, তাতেও খুব একটা সুবিধা করতে পারলেন না। এদিকে এই দৃশ্য দেখে তারস্বরে চেঁচাতে শুরু করলেন সরদারজির স্ত্রী, ‘বাঁচাও! বাঁচাও! কে কোথায় আছ, আমার স্বামীকে বাঁচাও!’সরদারজি ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন! কোনোমতে গলা জড়িয়ে ধরে ঝুলে থাকলেন। চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন! ঘোড়ার গলা ছেড়ে দিলেই ধপাস, গুরুতর আহত হওয়ার আশঙ্কা! শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি! এখন উপায়?
এমন সময় এগিয়ে এলেন শিশুপার্কের এক কর্মী। তিনি ঘোড়ার রাইডের বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিলেন। সরদারজি প্রাণে বাঁচলেন!
মাথা শেভ
পল্টু: এখানে চুল কাটাতে কত টাকা লাগে?নাপিত: ৪০ টাকা।
পল্টু: আর শেভ করতে?
নাপিত: ২০ টাকা।
পল্টু: আমার মাথাটা একটু শেভ করে দিন!
ভয়ে চুল খাড়া
সেলুনে চুল কাটাতে গেছেন এক নেতা। নাপিত কাঁচি চালাতে চালাতে বলছেন, ‘স্যার, শুনলাম জনগণ নাকি আপনার ওপর খুব খ্যাপা। যেকোনো দিন আপনার বাড়িতে হামলা চালাইবে! আপনি নাকি ঘুষের টাকা দিয়ে সম্পদের পাহাড় বানাইছেন…।’নেতা ধমক দিকে বললেন, ‘এই ব্যাটা, চুপ থাক।’
পরদিন নাপিতের কাছে চুল কাটাতে এলেন এক সরকারি কর্মকর্তা। নাপিত তাঁর চুল কাটতে কাটতে বললেন, ‘স্যার, দুদক নাকি আপনারে খুঁজতেছে! যেকোনো দিন ক্যাক কইরা ধইরা জেলে ঢুকায় দিব! আপনি নাকি দুর্নীতি করেন!’
সরকারি কর্মকর্তাও নাপিতকে ধমক দিয়ে চুপ করালেন।
কয়দিন বাদেই নাপিতের দোকান ঘেরাও করল পুলিশ। নাপিতকে আটক করে বলল, ‘এই ব্যাটা, তুই নাকি তোর কাস্টমারদের আজেবাজে কথা বলিস? তোর উদ্দেশ্য কী?’
নাপিত আমতা আমতা করে বললেন, ‘স্যার! এসব কথা বললে ভয়ে ওনাদের চুল খাড়া হয়ে যায়। আমার চুল কাটতে সুবিধা হয়। তাই বলি!’
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন