মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



একজন হতাশাগ্রস্থ ফ্রিল্যান্সার থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্পঃ আমি এবং ওডেস্ক

0 মন্তব্য(গুলি)
হ্যাঁ গল্পটা আমারই। গল্পটা ভেবে রেখেছিলাম ৬ মাস আগে। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেদিন সফল হব সেদিনই এইটা শেয়ার করবো। একদিন এই গল্প লেখার মত সাহস ছিলনা আমার কিন্তু স্বপ্ন ছিল। আসলে এইটাকে গল্প বলা ভুল হবে, এটাতো বাস্তব।

শুরুর কথাঃ

আমার শুরুটা হয়েছিল ভুল পথে। প্রথম আমার ব্যাক্তিগত কম্পিউটার কিনি ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে। তার আগে শুধু পত্রিকায় পড়তাম অনলাইনে কাজ করে নাকি টাকা পাওয়া যায়। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই ভাবলাম আমিও অনলাইনে কাজ করব আর টাকা কামাবো।
২০১১ সালের নভেম্বর। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে ভাল ধারনা ছিল না। তারপরেও বিশাল একটা সুযোগ পেলাম টাকা ইনকাম করার। আর তা হল ক্লিক করে টাকা আয় করার। বহু কষ্টে ৫০,০০০ টাকা যোগার করে নেমে পরলাম ক্লিক মারতে। মনে মনে ভাবলাম আমারে আর ঠেকাই কে? খালি টাকা আর টাকা। বাবা মার অমতে আমার প্রেমিকাকে বিয়েও করে ফেললাম।
কিন্তু আমার ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। ৩-৪ মাস পরে ক্লিক কোম্পানি উধাও। নেমে এলাম বাস্তবের জমিনে।

হতাশাঃ

শুরু হল জীবন সংগ্রাম। জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠল। আগে কোচিং করাতাম। বিয়ের পর সেটা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম বলে লোকলজ্জার ভয়ে সেটা আর ব্যক্তিগতভাবে চালু করতে পারিনি। কয়েকটা বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল ক্লিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর। তারা শুধু বলত ভাই কাজ দিব তোমাকে। এভাবে কেটে গেল ৩-৪ মাস। কিন্তু কাজ আর পেলাম না। প্রচন্ড টাকার অভাব দেখা দিল। সেই দিন গুলো বর্ণনা করার ভাষা আমার নাই। শুধু একটা উদাহরন দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন। আমার স্ত্রী কলেজে পড়ে। একদিন ১০ টা মাত্র টাকার জন্য আমার স্ত্রী কলেজে যেতে পারেনি।

সংগ্রামঃ

লোকলজ্জার ভয় ফেলে আমার এক ছোট ভাইয়ের কোচিং এ আবার পড়ানো শুরু করলাম। এত হতাশার মাঝেও আমি কিন্তু হাল ছারিনি। একদিন এক ভাইয়ের কাছে থেকে টেক-ইনফো বিডি নামের একটা ওয়েব সাইটের কথা শুনলাম। সেখান থেকে পেলাম টেকটিউনসের সন্ধান। এখানে এসে আমার উপলব্ধি হল যে আমি একজন মূর্খ। আমি আসলে কিছুই জানি না। তারপর বিভিন্ন ব্লগ পড়ে, গুগলে খুঁজে অনেক কিছু শিখতে লাগলাম। কিন্তু শিখতে গেলে তো মডেমে টাকা তুলতে হবে। সেই টাকা যোগাড় করাও আমার কাছে ছিলো কষ্টসাধ্য। এরপর captcha2cash নামক একটা ওয়েব সাইটে ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ শুরু করলাম। ১০০০ ক্যাপচার জন্য $১। কিন্তু আসলে তারা ২০০০ ক্যাপচা এন্ট্রি করলে $১ দিত যা করতে আমার প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগত। ও হ্যাঁ এর মধ্যে ওডেস্কে একটা অ্যাকাউন্টও করেছিলাম। কিন্তু প্রোফাইলটা ছিল হ-য-ব-র-ল। পরে টেকটিউনসে বিভিন্ন লেখা পড়ে আমার প্রোফাইলটাকে মোটামোটি একটা লুক দিলাম। শুরু করলাম বিড আর বিড। এক সময় বিড করতে করতে যখন আমার পীঠ বাঁকা হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল তখন আশা ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম ব্লগিং শুরু করব। অন্তত বিড করার ঝামেলা নাই।\


ঠিক তখনি আমার পরিচিত এক ছোট ভাই(ওডেস্কে আমার সিনিয়র) একটা মারাত্মক সাজেশন দিল। ও আমাকে বলেছিল ভাই জীবনে যাই করেন, সেইটা প্রফেশনাল ভাবে করেন। ব্যাস! এই একটা কথায় আমাকে বদলে দিল। এরপর শুধু একটা কথায় মাথায় রেখেছি। ফ্রিল্যান্সিংই হবে আমার ক্যারিয়ার। যে করেই হোক আমি একদিন সফল হবই ইনশাল্লাহ।

সফলতার শুরু যেখানেঃ

আমি আমার প্রোফাইলটা আরেকটু ঘষামাজা করে আবার নতুন টেকনিকে বিড করা শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে এক সপ্তাহের মধ্যেই আমার প্রথম কাজটা পেয়ে গেলাম।
কাজটা হল eBay Australia এর প্রোডাক্ট অ্যানালাইসিস এবং রিসার্চ করা। প্রথম ২ দিন কাজটা বুঝতে পারিনি। তাছাড়া প্রথম কাজ বলে আমি একটু উত্তেজিতও ছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্য ভাল ছিল। কারন আমার বায়ার অসাধারন ভাল ছিল। সে আমাকে কাজের সব কিছুই ২-৩ বার ভাল করে বুঝিয়ে দিল। এবং আমি কাজটা করতে সমর্থ হলাম। সে ৪ জনকে হায়ার করেছিল। তার মধ্যে আমিই সবচাইতে বেশী কাজ করি। কাজটা ছিল $১/ঘণ্টা। আমি ৭০ ঘন্টা কাজ করেছিলাম। বায়ার আমার কাজে খুশি হয়ে আমাকে ৫ * ফিডব্যাক দিল এবং খুব ভাল একটা কমেন্ট করল।
এবার ভাবলাম আরতো চিন্তা নাই। আমার আর কাজের অভাব হবেনা। কিন্তু না অভিজ্ঞতা কম বলে পরবর্তী ২ মাসে আর কাজ পেলাম না ওডেস্কে। এদিকে fiverr.com একটা অ্যাকাউন্ট করে কয়েক দিনের মধ্যে ১০ টা কাজ পেলাম। এরপর ওডেস্কে আবার শুরু করলাম তুমুল প্রফেশনালভাবে। এইবার শুধু কাজ করা নয়, কাজ পাওয়ার এবং কাজ ধরে রাখারও কিছু টেকনিক শিখলাম।

বর্তমানঃ

এখন আল্লাহর রহমতে কাজ সব সময় থাকে। আমি মুলত ওয়েব রিসার্চ এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করি। মাঝে মাঝে কাজের চাপ খুব বেড়ে যায়। মাসে ২০০ ঘন্টার বেশি কাজ করিনা। কারন আমার একটা ব্লগ আছে। ওইটাতে একটু সময় দেই। কোন এস,ই,ও না করেও শুধুমাত্র কনটেন্টের জোরে সেদিনের সেই মূর্খ লোকটার ব্লগ এখন গুগলের প্রথম পাতায় ২য় অবস্থানে আছে কয়েকটা কিওয়ার্ডের জন্য।
আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া। আর আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

উপসংহারঃ

আমি কোন প্রতিষ্ঠান বা বড় ভাইয়ের থেকে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শিখিনি। যা শিখেছি তা সবই ইন্টারনেট থেকে। টেকটিউনসেরও বড় অবদান আছে এতে। ধন্যবাদ টেকটিউনস পরিবারের সকল ব্লগারদের যারা বিনা স্বার্থে মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ ধন্যবাদ জানাই আমার ছোট ভাই মাহবুব আর ফিহাদকে যারা আমার বিপদে সাহায্য করেছে।
পরিশেষে একটা কথায় বলবো পরিশ্রম করুন সফলতা আসবেই। কারন আল্লাহ কেবল পরিশ্রমী ব্যাক্তিদেরই ভাগ্য পরিবর্তন করে।

 টিউন করেছেন : মাহমুদুল হাসান | প্রকাশিত হয়েছে : 8 April, 2013 on 10:42 pm |
বিস্তারিত পড়ুন »

ভাল ব্লগার হওয়ার উপায়সমূহ

0 মন্তব্য(গুলি)
বর্তমান সময়ে অনলাইন এ ইনকাম করার একটি বড় সোর্স হচ্ছে ব্লগিং । ফ্রিল্যান্স এ অনেক ব্লগার আছেন যারা ঘণ্টায় ২০-৩০ ডলার ইনকাম করেন । এছাড়া, ব্লগিং একটি সম্মানজনক পেশা । ব্লগার কে সাংবাদিক এর সাথে তুলনা করা হয় । একজন ভালো ব্লগার হতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়;
  1. আপনার যে বিষয়ে বেশী জ্ঞান আছে সেই বিষয় নিয়ে লিখুন । যে বিষয় তেমন জানেন না সে বিষয় নিয়ে লিখতে যাবেন না । কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করার জন্য সে বিষয় সম্পর্কে আরও জানুন ।
  2. এমন কিছু লিখুন যার মাধ্যমে আপনার লেখা থেকে কেউ কিছু শিখতে পাড়েন । কারণ, মানুষ আপনার লেখাটি পড়বে কোনকিছু শেখার জন্য ।
  3. প্রত্যেকটি আর্টিকেল লিখুন ছোট কিন্তু তথ্যবহুল । যেন পাঠকগণ অল্প পড়ে-ই অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারে
  4. একটি বিষয় নিয়ে যত বেশী রিসার্চ করবেন আপনার ততবেশি সেই বিষয়ের উপর দক্ষতা বাড়বে । এজন্য, নিয়মিত কমিউনিটি ব্লগের সাথে যুক্ত থাকুন ।
  5. আর্টিকেল লেখার সময় অপ্রয়োজনীয় শব্দ ব্যবহার করবেন না । সঠিক বানান এ লিখবেন এবং আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করতে যাবেন না ।
  6. আপনার প্রতিটি বাক্য যেন যুক্তিযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন ।
  7. আর্টিকেল লেখার পর সেটি বার বার মনোযোগ দিয়ে পড়ুন । এতে, কোন ভুলত্রুটি হলে ধরা পড়বে ।
আজ আর নয় । ধন্যবাদ সবাইকে আমার লেখাটি পড়ার জন্য ।
উপকৃত হলে মন্তব্য করতে ভুলবেন না ।
পোস্ট লিখেছেন জিহাদুর রহমান।
বিস্তারিত পড়ুন »

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি কিছু আয়ের জন্য অনলাইনে কাজ করুন

0 মন্তব্য(গুলি)
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি কিছু আয়ের জন্য অনলাইনে কাজ করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন স্রেফ বাড়তি উদ্যম, ধৈর্য আর কাজের দক্ষতা। জাহেদুর রহমান কাজ করেন বাংলাদেশের একটি সফটওয়্যার নির্মাণপ্রতিষ্ঠানে। তাঁর দক্ষতা প্রোডাক্ট বা মেকানিক্যাল ডিজাইনে। লেখাপড়া শেষ করে প্রয়োজনের তাগিদে চাকরি নিয়েছিলেন তাঁর বর্তমান প্রতিষ্ঠানে। অফিসে পুরো সময় দেওয়ার পর রাতে, সকালে আর ছুটির দিনে অনলাইনে কাজ করেন। জাহেদুর রহমানের ভাষ্য, ‘আমি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করি। কিন্তু গত এক মাসে অনলাইনে কাজ করে আমি বাড়তি ৬৫ হাজার টাকা আয় করেছি। ওডেস্ক আর ইল্যান্স মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিই; ডিজাইনের কাজ করি আমি।’
তিনি জানান, অনলাইনে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। চাকরির দক্ষতা অনলাইনের কাজে লাগানো যেতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য থাকতে হবে। অফিস থেকে বের হয়ে আবার কাজ করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। ভালো ইংরেজি বুঝতে হবে এবং স্কাইপ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ব্যবহার জানতে হবে। অনলাইনে পেশাদার মানসিকতা নিয়ে বসতে হবে। অনলাইনে আয় করাটা খুব সহজ নয়, আবার খুব সহজ। চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে আয়ের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রথমে কাজ পেতে হয়তো সমস্যা হবে। ‘ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলে চাকরির পাশাপাশি আয় করাটা সহজ।’ বললেন জাহেদুর রহমান। তাঁর স্বপ্ন নিজেই এবার উদ্যোক্তা হবেন। একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে নতুনদের কাজ শেখানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন।
তিনি বলেন, তাঁর অনেক বন্ধুই চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে আয় করছেন। তাঁর ভাষ্যে, বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের অনেকেই এখন অফিসের বাইরেও ফ্রিল্যানসিং করছেন। অন্যান্য পেশার ফ্রিল্যানসারদের সংখ্যা কম। তবে উদ্যোগী হলে অনেকেই বাড়তি কিছু আয় করতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজনে কিছু প্রশিক্ষণ নিয়েও কাজ করতে পারেন তাঁরা। দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিকল্পনা বিভাগে কাজ করেন মোবারক হোসেন। প্রথম আলো অনলাইনকে মোবারক হোসেন খান তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, বাড়তি কিছু আয়ের জন্যই তিনি ব্যাংকের চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যানসার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন ২০১১ সালে। ওডেস্ক প্ল্যাটফর্মে প্রতি ঘণ্টায় তাঁর বর্তমান আয় ৩০ ডলার। আর হিসাব করলে সপ্তাহ শেষে এ আয় দাঁড়ায় প্রায় এক হাজার ২০০ ডলারে। ব্যাংকের পরিকল্পনা বিভাগে কাজ করেন বলে তিনি শুরু থেকেই ওডেস্কে এ ধরনের প্রকল্পের কাজ খুঁজছিলেন। তবে শুরুটা করেন ডাটা এন্ট্রি কাজের মধ্য দিয়ে।

তিনি আরও জানান, ওডেস্ক বা এজাতীয় প্ল্যাটফর্মে বাংলদেশি ফ্রিল্যানসারদের অবস্থান ভালো। ব্যবসার পরিকল্পনা, গ্রাফিকস, মেকানিক্যাল—এসব ক্ষেত্রে খুব কম উপস্থিতি দেখা যায়। ব্যবসার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে বড়জোর তিন-চারটি বিড করা হয়। এখানে সম্ভাবনা আছে। দক্ষতা থাকলে তবেই কাজ শুরু করা উচিত। দক্ষ হয়ে কাজ না করলে দেশি ফ্রিল্যানসারদের কাজের মান নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে, যার প্রভাব খুব ভালো না-ও হতে পারে। কাজ জানা থাকলে সবার জন্য সম্ভাবনার ক্ষেত্র ফ্রিল্যানসিং।
কাজের ক্ষেত্রে ধৈর্য, উদ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে মোবারক হোসেন বলেন, সাহস করে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রোফাইল উন্নত করা প্রয়োজন সবার আগে। যিনি কাজ দেবেন, ওই বায়ার যদি সন্তুষ্ট হন, আর ভালো মন্তব্য করেন, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। অবশ্য অতি-উত্সাহী হওয়া উচিত নয়। সম্ভাবনা আর মেধা কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। নিজে উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের উত্সাহিত করতে হবে।
একটি প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগে কাজ করছেন রুবেল আহমেদ। প্রতিষ্ঠানটির বড় পদেই কাজ করছেন তিনি। তার পরও তিনি ফ্রিল্যানসিং করছেন। তাঁর ভাষ্য, বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যানসারদের সংখ্যা বাড়ছে। কাজে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যানসিং করলে আয় করা সহজ।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে কাজ করে বর্তমানে এর কান্ট্রি ডিরেক্টর পদে চাকরি করছেন সাইদুর মামুন খান। ইল্যান্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইদুর মামুন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, অনলাইনে আয়ের জন্য বয়স, পেশা বা চাকরি কোনো বিষয় নয়। দ্রুত গতির ইন্টারনেট, ভালো কম্পিউটার, দক্ষতা, উদ্যম আর মানসিকতা থাকলেই কাজ শুরু করা সম্ভব। বাড়তি আয়ের জন্য চাকরির পাশাপাশি অন্য কাজ করাই যায়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় অনলাইনে থাকার প্রয়োজন পড়ে।
ফ্রিল্যানসার হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ করছেন জাহরা জাহান। তাঁর ভাষ্য, ‘আমরা উদ্যোক্তা, চাকরির পেছনে ছুটছি না। আমরা চাকরি করব না, আমরা চাকরি দেব।’
বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমেদের ভাষ্য, ফ্রিল্যানসাররাই হচ্ছেন আগামী দিনের উদ্যোক্তা। ফ্রিল্যানসাররা সচেতন হলে দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব। ফ্রিল্যানসিংয়ের যেকোনো কাজের সঙ্গে বেসিস থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের ভাষ্য, ২০১২ সালে বাংলাদেশের ফ্রিল্যানসাররা আউটসোর্সিং থেকে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি টাকা আয় করেছেন। একাজে তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা ও উত্সাহ প্রয়োজন। বাংলাদেশে ফ্রিল্যানসিংয়ে নারীদের সংখ্যা কম। শুধু চাকরি না খুঁজে বা চাকরির পাশাপাশি নারীরাও ফ্রিল্যানসিং করে আয় করতে পারেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ওডেস্ক ডটকমে চার-পাঁচটি কাজের আবেদন করেই কাজ (জব) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ ১০০টি আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কত কম পারিশ্রমিকে (ডলার) আবেদন করেছেন, তার ওপর। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, আপনার কাজের মানের ওপর পারিশ্রমিক দাবি করবেন। এ জন্য চাই আত্মবিশ্বাস। একটি ৫০ ডলারের কাজ পাওয়ার জন্য পাঁচ ডলার চাওয়া মোটেও উচিত নয়। এতে যিনি কাজ দেন, তাঁর মনে আপনাকে নিয়ে এবং আপনার কাজের মান নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে পারে। নতুন যাঁরা ওডেস্কের মাধ্যমে কোম্পানি হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছেন বা করতে চান, তাঁদের জন্য নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
  1. ১. যেসব কাজদাতা বা বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত (পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড) হয় না, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কন্ট্রাক্টরকে কাজ দিতে গেলে বায়ারের লেনদেন পদ্ধতি পরীক্ষিত থাকতে হয়।
  2. ২. কোনো একটা কাজ প্রকাশ (জব পোস্ট) করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন, ততই ভালো।
  3. ৩. আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ওডেস্কে) থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, কিছু কিছু জব আছে, যেগুলো প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে মানে এক দুই ঘণ্টার মধ্যেই করে জমা দিতে হয়। যেমন—ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া বা হঠাত্ করে কোনো ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি।
  4. ৪. কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে বায়ার আপনাকে কোনো মেসেজ দিলে সঙ্গে সঙ্গে তার রিপ্লাই দিতে পারেন। তাহলে বায়ার বুঝতে পারবেন, আপনি কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক।
  5. ৫. ওডেস্কে দেখবেন, প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাক্টরকে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসব জবে আবেদন না করাই ভালো।

বিস্তারিত পড়ুন »

হতাশ একজন ভবঘুরে বেকার থেকে সফল একজন ফ্রীল্যান্সার হওয়ার ঘটনা। সফলতা অত সোজা নয়।

0 মন্তব্য(গুলি)
হ্যাঁ গল্পটা আমারই। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেদিন সফল হব সেদিনই এইটা শেয়ার করবো। একদিন এই গল্প লেখার মত সাহস ছিলনা আমার কিন্তু স্বপ্ন ছিল। আসলে এইটাকে গল্প বলা ভুল হবে, এটাতো বাস্তব। এটার প্রত্যেকটি ঘটনা বাস্তব এবং আমার নিজের জীবনেরই একটা অংশ। তো যাই হোক এবার শুরু করা যাক।
(আপনারা যারা এই টিউনটি পড়ছেন তারা জেনে রাখুন এটা আমার নিজের ইতিহাস না। আমি আমার নিজের ফ্রীল্যান্সার হওয়ার ঘটনা আগেই বলেছি, এটা আমার এক টিউনার ভাইয়ের ঘটনা। শুধুমাত্র আপনাদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্যই এটা শেয়ার করলাম।)
শুরুর কথাঃ
আমার শুরুটা হয়েছিল ভুল পথে। প্রথম আমার ব্যাক্তিগত কম্পিউটার কিনি ২০০৯ এর সেপ্টেম্বরে। তার আগে শুধু পত্রিকায় পড়তাম অনলাইনে কাজ করে নাকি টাকা পাওয়া যায়। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই ভাবলাম আমিও অনলাইনে কাজ করব আর টাকা কামাবো।
২০১১ সালের নভেম্বর। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে ভাল ধারনা ছিল না। তারপরেও বিশাল একটা সুযোগ পেলাম টাকা ইনকাম করার। আর তা হল ক্লিক করে টাকা আয় করার। বহু কষ্টে ৫০,০০০ টাকা যোগার করে নেমে পরলাম ক্লিক মারতে। মনে মনে ভাবলাম আমারে আর ঠেকাই কে? খালি টাকা আর টাকা। বাবা মার অমতে আমার প্রেমিকাকে বিয়েও করে ফেললাম।
কিন্তু আমার ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। ৩-৪ মাস পরে ক্লিক কোম্পানি উধাও। নেমে এলাম বাস্তবের জমিনে।
হতাশাঃ
শুরু হল জীবন সংগ্রাম। জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠল। আগে কোচিং করাতাম। বিয়ের পর সেটা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম বলে লোকলজ্জার ভয়ে সেটা আর ব্যক্তিগতভাবে চালু করতে পারিনি। কয়েকটা বড় ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল ক্লিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর। তারা শুধু বলত ভাই কাজ দিব তোমাকে। এভাবে কেটে গেল ৩-৪ মাস। কিন্তু কাজ আর পেলাম না। প্রচন্ড টাকার অভাব দেখা দিল। সেই দিন গুলো বর্ণনা করার ভাষা আমার নাই। শুধু একটা উদাহরন দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন। আমার স্ত্রী কলেজে পড়ে। একদিন ১০ টা মাত্র টাকার জন্য আমার স্ত্রী কলেজে যেতে পারেনি।
সংগ্রামঃ
লোকলজ্জার ভয় ফেলে আমার এক ছোট ভাইয়ের কোচিং এ আবার পড়ানো শুরু করলাম। এত হতাশার মাঝেও আমি কিন্তু হাল ছারিনি। একদিন এক ভাইয়ের কাছে থেকে টেক-ইনফো বিডি নামের একটা ওয়েব সাইটের কথা শুনলাম। সেখান থেকে পেলাম টেকটিউনসের সন্ধান। এখানে এসে আমার উপলব্ধি হল যে আমি একজন মূর্খ। আমি আসলে কিছুই জানি না। তারপর বিভিন্ন ব্লগ পড়ে, গুগলে খুঁজে অনেক কিছু শিখতে লাগলাম। কিন্তু শিখতে গেলে তো মডেমে টাকা তুলতে হবে। সেই টাকা যোগাড় করাও আমার কাছে ছিলো কষ্টসাধ্য। এরপর ক্যাপচা২ক্যাশ নামক একটা ওয়েব সাইটে ক্যাপচা এন্ট্রির কাজ শুরু করলাম। ১০০০ ক্যাপচার জন্য $১। কিন্তু আসলে তারা ২০০০ ক্যাপচা এন্ট্রি করলে $১ দিত যা করতে আমার প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগত। ও হ্যাঁ এর মধ্যে ওডেস্কে একটা অ্যাকাউন্টও করেছিলাম। কিন্তু প্রোফাইলটা ছিল হ-য-ব-র-ল। পরে টেকটিউনসে বিভিন্ন লেখা পড়ে আমার প্রোফাইলটাকে মোটামোটি একটা লুক দিলাম। শুরু করলাম বিড আর বিড। এক সময় বিড করতে করতে যখন আমার পীঠ বাঁকা হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল তখন আশা ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম ব্লগিং শুরু করব। অন্তত বিড করার ঝামেলা নাই।
ঠিক তখনি আমার পরিচিত এক ছোট ভাই(ওডেস্কে আমার সিনিয়র) একটা মারাত্মক সাজেশন দিল। ও আমাকে বলেছিল ভাই জীবনে যাই করেন, সেইটা প্রফেশনাল ভাবে করেন। ব্যাস! এই একটা কথায় আমাকে বদলে দিল। এরপর শুধু একটা কথায় মাথায় রেখেছি। ফ্রিল্যান্সিংই হবে আমার ক্যারিয়ার। যে করেই হোক আমি একদিন সফল হবই ইনশাল্লাহ।
সফলতার শুরু যেখানেঃ
আমি আমার প্রোফাইলটা আরেকটু ঘষামাজা করে আবার নতুন টেকনিকে বিড করা শুরু করলাম। আল্লাহর রহমতে এক সপ্তাহের মধ্যেই আমার প্রথম কাজটা পেয়ে গেলাম।
কাজটা হল eBay Australia এর প্রোডাক্ট অ্যানালাইসিস এবং রিসার্চ করা। প্রথম ২ দিন কাজটা বুঝতে পারিনি। তাছাড়া প্রথম কাজ বলে আমি একটু উত্তেজিতও ছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্য ভাল ছিল। কারন আমার বায়ার অসাধারন ভাল ছিল। সে আমাকে কাজের সব কিছুই ২-৩ বার ভাল করে বুঝিয়ে দিল। এবং আমি কাজটা করতে সমর্থ হলাম। সে ৪ জনকে হায়ার করেছিল। তার মধ্যে আমিই সবচাইতে বেশী কাজ করি। কাজটা ছিল $১/ঘণ্টা। আমি ৭০ ঘন্টা কাজ করেছিলাম। বায়ার আমার কাজে খুশি হয়ে আমাকে ৫ * ফিডব্যাক দিল এবং খুব ভাল একটা কমেন্ট করল।
এবার ভাবলাম আরতো চিন্তা নাই। আমার আর কাজের অভাব হবেনা। কিন্তু না অভিজ্ঞতা কম বলে পরবর্তী ২ মাসে আর কাজ পেলাম না ওডেস্কে। এদিকে fiverr.com একটা অ্যাকাউন্ট করে কয়েক দিনের মধ্যে ১০ টা কাজ পেলাম। এরপর ওডেস্কে আবার শুরু করলাম তুমুল প্রফেশনালভাবে। এইবার শুধু কাজ করা নয়, কাজ পাওয়ার এবং কাজ ধরে রাখারও কিছু টেকনিক শিখলাম।
বর্তমানঃ
এখন আল্লাহর রহমতে কাজ সব সময় থাকে। আমি মুলত ওয়েব রিসার্চ এবং ডাটা এন্ট্রির কাজ করি। মাঝে মাঝে কাজের চাপ খুব বেড়ে যায়। মাসে ২০০ ঘন্টার বেশি কাজ করিনা। কারন আমার একটা ব্লগ আছে। ওইটাতে একটু সময় দেই। কোন এস,ই,ও না করেও শুধুমাত্র কনটেন্টের জোরে সেদিনের সেই মূর্খ লোকটার ব্লগ এখন গুগলের প্রথম পাতায় ২য় অবস্থানে আছে কয়েকটা কিওয়ার্ডের জন্য।
আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া। আর আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
উপসংহারঃ
আমি কোন প্রতিষ্ঠান বা বড় ভাইয়ের থেকে ট্রেনিং নিয়ে কাজ শিখিনি। যা শিখেছি তা সবই ইন্টারনেট থেকে। টেকটিউনসেরও বড় অবদান আছে এতে। ধন্যবাদ টেকটিউনস পরিবারের সকল ব্লগারদের যারা বিনা স্বার্থে মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ ধন্যবাদ জানাই আমার ছোট ভাই মাহবুব আর ফিহাদকে যারা আমার বিপদে সাহায্য করেছে।
পরিশেষে একটা কথায় বলবো পরিশ্রম করুন সফলতা আসবেই। কারন আল্লাহ কেবল পরিশ্রমী ব্যাক্তিদেরই ভাগ্য পরিবর্তন করে।
উপরের এই ঘটনাটি একটি প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগ থেকে নেয়া।
এভাবে প্রত্যেকটা মানুষের বড় হওয়ার পেছনে থাকে এক একটা করুন আর কষ্টসাধ্য কাহিনী। কষ্ট ছাড়া কেউই বড় হতে পারে না। বড় হওয়ার জন্য দরকার কঠিন সাধনা এবং মনোবল।
আমার একটা ব্লগ আছে, এটা মূলত ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কিত। এখানে আমি চেস্টা করি কিভাবে লোকদের কাছে আরও সহজে এবং স্বল্প খরচে কিভাবে ফ্রীল্যান্সিং এর দিকে এগিয়ে নেয়া যায়। অনেক চেস্টা করছি এটাকে আরও ডেভলপ করার। সবাই দোয়া করবেন। সবাই ভাল থাকবেন আর কেউ হতাশ হবেন না এই প্রত্যাশায় শেষ করলাম আজকের টিউন।
বিস্তারিত পড়ুন »

ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট (Web Development) কিভাবে শুরু করবেন? (How to Start?)

0 মন্তব্য(গুলি)
ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট (Web Development) এর প্রতি বর্তমানে অনেক পাঠক-পাঠিকার বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কেউ শখের বসে ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট শিখতে চাচ্ছেন, কেউ আবার কাজ শিখার জন্য শিখতে চাচ্ছেন, আবার কেউ টাকা আয় করার জন্য শিখতে চাচ্ছেন। হ্যা ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট শিখে অনেক রকম কাজ করতে পারেন। অনেকের ধারণা ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট শুধু মাত্র মাত্র টাকা আয় করার জন্য। আসলে তা নয়। আপনি আয় করার জন্য বা শিখার জন্য বা শখের বসে বা কাজ করার জন্য বা কাউকে ট্রেইনিং (Training) দেয়ার জন্য থেকে শুরু করে নানা কাজে ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট শিখতে পারেন।
কিভাবে শুরু করবেন? (How to Start?)

ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট শুরু করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। একেক জনের মতামত একেক রকম হতে পারে। এখানে আমি আমার মত জানাচ্ছি। যদি আপনি কোডিং (Coding) শিখতে চান তাহলে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন প্রথমেঃ
১। রো (RAW) কোডিং শিখার জন্যঃ এইচটিএমএল >এক্স-এইচটিএমএল> সিএসএস> পিএইচপি>মাইএসকিউএল> পিএইচপির সাথে মাইএসকিউএলের ব্যবহার শিখুন সবার আগে। (HTML > XHTML > CSS > PHP > MySQL > PHP with MySQL).
২। সিএমএস (CMS) ওয়েবসাইটঃ কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টের সিস্টেম (Content Management System) এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে সিএমএস। ওয়েব সাইট তৈরির করার জন্য বা সিএমএসে কাজ শিখার জন্য শুরু করতে চাইলে জুমলা (Joomla) ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে জুমলাতে বিভিন্ন ধরনের সিএমএস ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
৩। সিএমএস ব্লগঃ ব্লগ (Blog) তৈরি করার জন্য সিএমএসের দিক থেকে ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) সর্বোত্তম। অর্থাৎ ব্লগ বা যেকোনো ওয়েব এপ্লিকেশন (Application) তৈরিতে বর্তমানে অনেক প্রোগ্রাম ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করছেন।
উপরে আলোচনা তিনটি ধাপের যেকোনো একটি অনুসরণ করে সহজেই ওয়েব ডেভেলোপমেন্টে শিখা শুরু করে দিতে পারেন।
দরকারী তথ্যঃ

অনেকেই ভেবে থাকেন ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট শিখেই বা কোনো কোর্স করেই টাকা আয় করা শুরু করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বলতে গেলে চান্স অনেক কম, কারন প্রফেশনাল লেভেল কাজ করা নির্ভর করবে আপনার বেশি বেশি প্র্যাক্টিসের উপর। বেশি বেশি ওয়েবসাইট, ব্লগ তৈরি করুন এবং আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে নিন। তাতে ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করা আপনার জন্য সহজ হবে।
পোর্টফলিওঃ

ওয়েব ডেভেলোপমেন্টে কাজ করার জন্য আপনার একটি ভালো পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে যেখানে আপনার কাজের নমুনাও থাকবে। এর জন্য আপনি একটি ডোমেইন ও হোস্টিং নিতে পারেন এবং উক্ত হোস্টিং এ আপনার কাজের ডেমো ভার্সন গুলো উঠিয়ে রাখতে পারেন, যেনো কোনো ক্লায়েন্ট বা কেউ কাজ দেখতে চাইলে তা তাদেরকে সহজেই দেখাতে পারেন। কারন আপনার এই কাজ গুলোই আপনার কাজের দক্ষতা জানিয়ে দেবে।
আপাতত এখানেই শেষ করছি। Web Development এর উপর আর কোনো তথ্য দেয়ার প্রয়োজন হলে পরবর্তিতে জানানো হবে।
বিস্তারিত পড়ুন »
 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার