>

মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



হাঁসতে থাকুন পেট ফুলিয়ে পর্বঃ- ০৪

গোপালের শাস্ত্র বিচার

শেখ আমীরশাহ খুব বিচক্ষণ মৌলবী ছিলেন। হিন্দুশাস্ত্রেও তাঁর বেশ দখল ছিল। তারই জোরে গোপালকে তিনি অনেক সময়ে ঠকাবার চেষ্টা করেন। অবশ্য তার ফলে নিজেই জব্দ হতেন সর্বদা। কিন্তু তাতে লজ্জা নেই তাঁর। বার বার গোপালকে ঠকাবার চেষ্টা করেও বুদ্ধিমান গোপালকে কোনমতেই ঠকানো যায় না বরং শেখ আমীরশাহই বারবার ঠকেন।
একদিন গোপান ভিন গাঁয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে গেছেন। শেখ আমীরশাহও সেই বন্ধুর বাড়িতে সেইদিন নিমন্ত্রিত। গোপাল গিয়ে বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছে দেখেন শেখ আমিরশাহ ভোজনে বসেছেন। গোপাল জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী খাচ্ছেন মৌলবী সাহেব?’
শেখ সাহেব শাস্ত্রের মারফত রসিকতা করবার লোভ সামলাতে পারলেন না এবার। বললেন, ‘এই যে গোপাল, তোমাদের অবতার ভোজন করছি।’ তিনি মাছ খাচ্ছিলেন, এবং মৎস্য হলো দশ-অবতারের প্রথম অবতার।
গোপালেরও শাস্ত্রজ্ঞান বেশ প্রখর। একথা শেখ সাহেব বেশ ভালোভাবেই জানেন।
গোপাল অর্থটা অন্যরকম বুঝবার ভাণ করলেন। তিনি বললেন, ‘অবতার? তৃতীয় অবতার নিশ্চয়ই?’
শেখ সাহেব ‘তোবা, তোবা’ করে লাফিয়ে উঠলেন ভোজন ত্যাগ ক’রে। কারণ হিন্দুদের তৃতীয় অবতার হলো–বরাহ বা শূকর অবতার এবং শূকরের মাংশ হলো মুসলমানদের পক্ষে নিষিদ্ধ খাদ্য।
বেশি জব্দ হয়েই সেদিন শেখ সাহেবকে উপোসেই থাকতে হলো। কারণ তিনি সেদিন আর কিছু খেতে পারলেন না। এদিকে গোপাল বন্ধুর বাড়িতে বেশ পেট ভরেই খেয়ে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বিদায় নিলেন। এবারও শেখ সাহেব হলেন ভীষণ জব্দ। তিনি খুব ব্যথিত হয়ে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন আর কোনদিনও গোপালের সঙ্গে খারাপ রসিকতা বা খারাপ ব্যবহার করবেন না।

সাইরেন

পথ ধরে যাচ্ছিলেন শফিক। হঠাৎ দেখলেন, ছোট্ট একটা ছেলে মাথায় লাল টুপি আর লাল পোশাক পরে কী যেন খেলছে। ছেলেটার কাঁধে একটা ছোট মই। হাতে দড়ি। দড়ির অপর প্রান্ত একটা কুকুরের লেজের সঙ্গে বাঁধা।
শফিক: খোকা, কী খেলছ?
খোকা: দেখছেন না, আমি একজন দমকলকর্মী। আর এই কুকুরটা, এটা আমার গাড়ি।
শফিক: বাহ্! খুব ভালো। তবে আমার মনে হয়, তুমি যদি দড়িটা লেজে না বেঁধে গলায় বাঁধতে, তাহলে তোমার গাড়িটা দ্রুত চলত।
খোকা: তা ঠিক বলেছেন। তবে তখন আর দড়ি ধরে টানলেই সাইরেন বাজত না!

গাড়ির ব্রেক

আজিজ মিঞার কারখানায় আগুন লেগেছে। জলদি আগুন নেভাতে না পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আজিজ খবর দিলেন দমকলকর্মীদের।
চটজলদি হাজির হলো দমকল বাহিনী। কারখানার সামনের ছোট গলিটার দুপাশের দোকানগুলো ভেঙে, সদর দরজা গুঁড়িয়ে দিয়ে, দেয়াল ভেঙে সোজা অগ্নিকুণ্ডের স্থলে গিয়ে থামল গাড়ি! প্রচণ্ড ঝাঁকি খেয়ে গাড়ির পেছনে রাখা পানির টাংকিটা ছিটকে গিয়ে পড়ল আগুনে। ব্যস, নিভল আগুন।
দমকলকর্মীদের তৎপরতা দেখে ভীষণ খুশি আজিজ। তিনি দমকল বাহিনীর প্রধানের হাতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই টাকা দিয়ে আপনারা কী করবেন বলুন তো?’
দমকল বাহিনীর প্রধান: প্রথমেই গাড়ির ব্রেকটা ঠিক করাব!

কমোডে মাথা

এক দুষ্ট ছেলে থানায় ফোন করেছে।
- এইটা কি পুলিশ স্টেশন?
- হ্যাঁ।
- আপনি কি পুলিশ?
- হ্যাঁ।
- আপনার থানায় বাথরুম আছে?
- হ্যাঁ।
- আপনার বাথরুমে কমোড আছে?
- হ্যাঁ, আছে।
- তাহলে কমোডের মধ্যে মাথা ঢুকাইয়া বইসা থাকেন। এই বলে ছেলেটি ফোন কেটে দিল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ নাম্বার বের করে কলব্যাক করল। ছেলেটির বাবা ফোন ধরল।
পুলিশ অভিযোগ করল, আপনার ছেলে আমাকে কমোডে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকতে বলেছে।
- কতক্ষণ আগে বলেছে?
- এই ধরেন ১০ মিনিট।
- তাহলে এখন মাথা বের করে ফেলেন।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার