>

মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



নাসার নতুন আবিষ্কারঃ প্রমাণ মিলেছে মঙ্গল গ্রহে পানি

সালাম সবাইকে আসা করি ভালো আছেন। আজব টেকনোলজি এর দুনিয়ায় আরেকবার সবাইকে জানাই স্বাগতম। নাসার মহাকাশযান ‘অপরচ্যুনিটি’ মঙ্গল গ্রহে প্রাচীন এক পাথরের ফাটলে জিপসাম নামক খনিজের একটি স্তরের সন্ধান পেয়েছে। ‘প্লাস্টার অব প্যারিস’ নামে পরিচিত জিপসামের এ স্তর এককালে গ্রহটিতে পানির উপস্থিতিরই সুস্পষ্ট প্রমাণ। কারণ, পাথরের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহের কারণেই সেখানে জিপসাম তৈরি হতে পারে। মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে গ্রহটির দুই বিপরীত প্রান্তে ‘অপরচ্যুনিটি’ ও ‘স্পিরিট’ নামের দুটি মহাকাশ যান পাঠায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
‘অপরচ্যুনিটি’ এর আগেও মঙ্গল গ্রহে সালফেট খনিজের সন্ধান পেয়েছিলো। কিন্তু তা বাতাসে উড়ে যাওয়ায় কিংবা অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় সে সময় সব তালগোল পাকিয়ে গিয়েছিল। এরফলে ওই খনিজ মঙ্গলে পানির অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কিনা তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিলো বিতর্ক। কিন্তু প্রাপ্ত জিপসাম এবার সে বিতর্কেরই অবসান ঘটালো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহাকাশযান দুটির প্রধান গবেষক ও করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহবিষয়ক বিজ্ঞানী স্টিভ স্কুয়ারস বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি পুরো মঙ্গল অভিযানে এটিই পানি প্রবাহের একমাত্র সুস্পষ্ট পর্যবেক্ষণ। আমরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত হয়ে সংবাদটি পুরো পৃথিবীর লোকদের জানাচ্ছি।’’ তবে জিপসামের অস্তিত্ব নিশ্চিত হতে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে এবং জিপসামের মতো দেখতে অন্য খনিজের স্তরও পরীক্ষা করে দেখবে নাসা।
স্কুয়ারস বলেছেন, ‘‘এ খনিজটি এখানেই তৈরি হয়েছে। পাথরের গায়ে ফাটল আছে। এর মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানি থেকে জিপসাম এখানে জমা হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। গল্পের এখানেই শেষ।’’

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার