>

মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



পিরামিড রহস্য




মিসরের সবচেয়ে বড় পিরামিডের উচ্চতা ৪৮০ ফুট ও প্রস্থ ৭৫৬ ফুট। কীভাবে এত বড় বড় বেলে পাথর উত্তোলন করে ওই বিশাল আয়তনের পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল তার সঠিক মত পাওয়া যায় না। তবে ধারণা করা হয়-ফারাও রাজাদের হাজার হাজার যুদ্ধ বন্দি চার পাশের বেলে মাটি দিয়ে উঁচু করেছিল। পরে বড় বড় পাথর খ-গুলো উপরে উঠিয়ে পিরামিড তৈরি করেছিল। শেষে পিরামিডের চারপাশ থেকে ওই বালি মাটি কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। আর এভাবেই ওই পিরামিডগুলো তৈরি হয়েছিল বলে সর্বাপেক্ষা গ্রহণযোগ্য মতবাদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ওই সব রহস্যময় পিরামিড় ও মমি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সময় গবেষণা করেছেন জার্মানি প্রত্নতত্ত্ববিদ এডিস ভনভনির নাম উল্লেখ্যযোগ্য। তিনি সারাবিশ্বের অনেক পিরামিড নিয়েই খনন কাজ ও গবেষণা করেছেন। ফলে অনেক রহস্য, নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন। আর পিরামিড মূলত প্রাচীন মানুষের সুরক্ষিত করব। তবে পিরামিড ও মমি শুধু মিসর বা ঈজিপ্টেই পাওয়া যায়নি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও পাওয়া গেছে।
বহু মমি এমন সুরক্ষিত ও সযত্নে রাখা হয়ে ছিল যে, দেখে মনে হয় আজো তারা জীবিত। যেন সেই ইতিহাস আজো ঐতিহাসিক কথা বলে। এরে মধ্যে সবচেয়ে রহস্যময় মমি পাওয়া গেছে দক্ষিণ আমেরিকার পেরু আঞ্চলে। যেগুলো তৈরি করেছিল প্রাচীন ইনকা সভ্যতার মানুষ। ইনকারা এই মমিগুলো হিমায়িত করে রাখত। যাতে তারা পরকালে ওই দেহ থেকেই আবার জীবিত হয়ে উঠতে পারে। তাদের দেহ অক্ষত থাকে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালা এবং মেক্সিকোর ইউকাটানের জঙ্গলে পাওয়া গেছে আরেক বিশাল পিরামিডের নগরী। যার সাথে মিসরীয় সভ্যতা ও পিরামিড নগরীর হুবহু মিল রয়েছে। মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ৬০ মাইল বা প্রায় ১০০ কি.মি দূরে অবস্থিত চেলুলার মালভূমি। আর এখানেই পিরামিড নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। যা আয়তনে মিসরের গিযা নগরীর পিরামিডের চেয়েও আনেক বড়। তবে সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হলো ওইখানকার প্রতিটি পিরামিড গ্রহ-নক্ষত্রের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া গেছে নিখুঁত মায়া পঞ্জিকা বা বছর হিসাব করার ক্যালেন্ডার। সেই পঞ্জিকা অনুসারেই ওই পিরামিডগুলো তৈরি করা হয়েছে। আপনী যদি মিসরে যান। তাহলে অবাক হয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে ভাববেন। কীভাবে প্রায় একজন মানুষের সমান বর্গাকৃতির সিমেন্টর মতো তৈরি খ-গুলো এত উপরে তুলে ওই পিরামিডগুলো তৈরি করা হয়েছে? কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে? প্রযুক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে সহজ বালি প্রযুক্তি। তবে সবচেয়ে বেশি গবেষণা চলছে মমি নিয়ে। আর এ গবেষণার ফলে নানান তথ্য আবিষ্কার হয়েছে। তবে জার্মানির প্রত্নতত্ত্ব বিজ্ঞানী এডিস ভনভনির ক্যান শ্রেষ্ঠত্ব আছে। তিনি এই পিরামিডের রহস্য আবিষ্কারের জন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন পিরামিডের স্থান ভ্রমণ করেছেন। ইনকা সভ্যতার অট্টালিকা ও বিশাল বিশাল পিরামিডগুলোর প্রাচীর নির্মাণ করতে ব্যবহার হয়েছিল প্রায় ১০০ টন ওজনের বেলে পাথরে খ-। সেগুলো নিখুঁত জ্যামিতিক মাপে তৈরি। ১৯৫৩ সালে ককেশাশের উত্তর শাকারায় প্রাচীন সমাধি ক্ষেত্রে এক বিরাট করব স্থান আবিষ্কার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটা প্রথম রাজবংশ কোনো ফারাওদের কবর হতে পারে। প্রধান কবর ছাড়া আরো ৭২টি কবর সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে। ১৯৫৪ সালে সেগুলো খনন কাজ করা সময় ওই খানেই আরো একটি কবর আবিষ্কার হয়। কবরটি আগে কেউ দেখেনি। তার মধ্যে সোনা-দানা মূল্যবান জিনিস সবই রাখা ছিল। ডক্টর গানিদ নামের এক অধ্যাপক কবরে রাখা ওই কফিন বক্সটি বহু কষ্ট করে খুললেন। কিন্তু কি আশ্চর্য সেই সমাধিটির কফিন বক্সটি ছিল ফাঁকা। কোনো মমি তার মধ্যেই পাওয়া যায়নি। রাশিয়ান বিজ্ঞানী রোবেঙ্কো কুরগান একটি পিরামিড আবিষ্কার করেন চীনের উত্তরে চেঙ্গিস খানের দেশ মঙ্গোলিয়ার সীমান্তে। ওই কবরের সব কয়টি প্রকোষ্ঠ বরফ দিয়ে আটকানো। ভেতরে সব জিনিস হিমায়িত করে রাখা প্রধান কবরে রয়েছে ১টি পুরুষ ও ১টি নারীর মমি।
দৈনন্দিন জীবন যাপনের সব উপকরণই রয়েছে ওই কবরের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে। চীনের সিচুয়ান প্রদেশে অবস্থিত রয়েছে ৪৫ ফুট লম্বা ৩১ ফুট উঁচু ৩৯ ফুট চওড়া একটি পিরামিড। আলপিছ নামক স্থানে পাওয়া গেছে ১টা হিমবাহু কবর। সাইবেরিয়ার জমে থাকা তুষারের নিচে পাওয়া গেছে ১টা হিমবাহু কবর। সাইবেরিয়াতে পাওয়া গেছে তুষারের মধ্যে কবর বা মমি জেরিকোতে রয়েছে পিরামিডের আদলে নির্মাণ করা ১০,০০০ বছর আগেকার কবর বা মমি। চীনের গোবি মরুভূমিতে পাওয়া গেছে অত্যধিক গরমে গলে যাওয়া কবর বা লাশ। যা প্রায় ১২০০০ বছর আগের। নমুনা দেখে বুঝা যাচ্ছে এই কবরে ছিল ২টি ধনী লোকের লাশ। আফ্রিকার নরিয়া লাপাতা মরুভূমি অঞ্চলে আবিষ্কার করা হয়েছে-বেশ কয়েকটি পিরামিড। যা মিসরের পিরামিডের আদলে তৈরি করা। মধ্য আমেরিকাতে লাখ লাখ পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর শুধু মেক্সিকোতে পাওয়া গেছে ১ লাখ পিরামিড। যার মধ্যে অনেক পিরামিড আছে, যা এখনো কেউ ধরেই দেখেনি। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের দেশ মেক্সিকোর চেলুলার মালভূমিতে যে বিশাল পিরামিড রয়েছে এগুলোই বিশ্বে সংখ্যাধিক পিরামিড। যা মিসর সর্বাপেক্ষা বড় থিউপসের পিরামিডের দ্বিগুণ। ওই পিরামিডের মধ্য থেকেই ১৯৫২ সালের ১৫ জুন, একটি মমিসহ সোনা-দানা বিষয় সম্পত্তি সবই আবিষ্কৃত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো কেন এই পিরামিডগুলো তৈরি করা হতো? কেন মৃত মানব দেহকে মামি করে পিরামিডের মধ্যে রাখা হতো? এটা কি মুসলমানদের মতো পরকাল বা আখিরাতের ওপর বিশ্বাস করে? নাকি অন্য কোনো রহস্য রয়েছে। অতি হিমায়িত করে কোষগুলোকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখার চিন্তা ভাবনা, এই সে দিন মানুষের মাথায় এলো। অধ্যাপক এটিনজার, যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভবিষ্যতে মানুষের মৃতদেহকে নির্দয় ও অমানবিকভাবে পুড়িয়ে ফেলা হবে না। কবরে পচিয়েও ফেলা হবে না। রেখে দেয়া হবে হিমায়িত করে। তার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে একদিন সেই মৃতদেহকে জীবিত করে তোলা হবে। তাহলে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ বছর আগেকার লোক কি জানতো এই প্রক্রিয়া? যা আজ ও আবিষ্কার হয়নি। মমি রহস্যের পেছনে এমন একটা চিন্তা ধারা থাকলে থাকতেও পারে। হয়ত তখনকার লোক জানতে পেরেছিল যে শরীরকে হিমায়িত করে রাখা যায়। তারা এও জানতো যে সুদূর ভবিষতের মানুষ একদিন এই মৃতদেহকে জীবিত করে তুলতে পাবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার