গিটারের প্রাথমিক পরিচিতি:
আমরা যে গিটার শিখতে চাই তা হলো অ্যাকুস্টিক স্প্যানিশ গিটার। আমাদের দেশে অনেকে হাওয়াইয়ান গিটারও শেখে তবে তা মূলত কেবল একক যন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়; গান গাওয়ার সময় অনুষঙ্গ হিসাবে নয়। অ্যাকুস্টিক গিটারে তারের কম্পন গিটারের কাঠের বডিতে অনুরণন হয়ে শব্দের সৃষ্টি করে। অপর দিকে ইলেকট্রিক গিটারে (ব্যান্ডগুলো যা নিয়ত ব্যবহার করে) তারের কম্পন সরাসরি সেন্সরের মাধ্যমে প্রিঅ্যাম্প হয়ে অ্যাম্পলিফায়ারে যায়। এ ক্ষেত্রে গিটারের বডি কেবল সৌন্দর্যের জন্য। গিটার শেখার জন্য অ্যাকুস্টিক বেশী উপযোগী বলে আমরা ইলেকট্রিক গিটার নিয়ে কোন আলোচনা করব না এখানে।
যাই হোক, অ্যাকুস্টিক গিটারে যে অংশগুলো থাকে তা চিত্রে দেখানো হলো।
ব্যাগ, পিক ও ক্যাপো:
গিটার কেনার সাথে সাথে তা বহন করা বা নিরাপদে রাখার জন্য একটা ব্যাগ খুব জরুরী। ব্যাগ শক্ত কাঠামো ও মোটা কাপড়ের হয়। শক্তগুলোর দাম বেশ বেশী হতে পারে, আর কাপড়ের ব্যাগ ২/৩শ টাকার মধ্যে পেয়ে যাওয়ার কথা। গিটার বাজানোর জন্য আমাদের কিছু পিক লাগবে। পিক আকারে ছোট বলে মাঝে মধ্যে হারায়, তাই একসাথে ৫/৬টা কিনে রাথা ভাল।
এত কিছু কেনার পর আমি সুপারিশ করব একটা ক্যাপো কিনতে। একটা ক্যাপো থাকলে গান গাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। গিটার টিউন করার জন্য অনেকে টিউনার ব্যবহার করে। ডিজিটাল টিউনারের দাম সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে আমরা টিউন নিজে নিজে করব বলে কোন টিউনারের দরকার নেই। খুব প্রয়োজন হলে বিশেষ সফটওয়ার নামাতে পারেন যা দিয়ে কম্পিউটারের সাহায্যে গিটার টিউন করা যায় (মাইক্রোফোন থাকতে হবে)। পিক ও ক্যাপোর ছবি দেয়া হলো।
গিটার টিউনিং:
গিটার বাজানোর আগে আমাদের টিউন করে নিতে হবে। প্রথম পাঠ বলে আমরা টিউন করাটা খুব সহজ করে শিখতে চাই। মোটামুটি টিউন করতে পারলে, পরের পাঠগুলো বুঝা সহজ হবে। যখন নোট ও স্কেল সম্পর্কে ভাল ধারণা হবে তখন আবার আমরা টিউনিংএর বিশদ জানব।
টিউন করা জন্য সবচেয়ে চিকন (১নং) তারকে মোটামুটিভাবে টান টান করুন। গিটারের মাথায় প্রতিটি তারকে টান দেবার বা ঢিল করার জন্য একটি করে টিউনিং কি আছে। একটা কিকে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখুন তার কি টান হচ্ছে না ঢিলা হচ্ছে। (সঠিকভাবে তার প্যাঁচানো থাকলে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরালে ১, ২, ও ৩ নং তার টান হবে। ৪, ৫ ও ৬নং এর বেলায় উল্টো।) তার খুব বেশী টান হলে বাজাতে কষ্ট হবে, অতিরিক্ত টান হলে তা ছিঁড়ে যাবে। আর খুব ঢিলা হলে বাজানোই যাবে না। কতটা টান হলে তা চলনসই হবে তা বোঝার জন্য তারটিকে ফ্রেটবোর্ডের মাঝ বরাবর উপরের ২নং তারের দিকে ঠেলা দিন। আধা সেন্টিমিটারের মত সরাতে পারলে ধরে নেয়া হবে তারে টান ঠিক আছে। ১নং তার এখন টিউন হয়ে গেছে।
এবার দুনং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে পিক দিয়ে একই সাথে ১নং ও ২নং তার বাজান। দুটো তারের শব্দ কি আলাদা করে শোনা যায়? সঠিক টিউন হলে দুতারে একই শব্দ শোনা যাবে। ঠিক না হলে একটা ঢেউয়ের মতো শব্দ শোনা যাবে। ২নং তারটিকে টান করে বা ঢিল করে দুটি তারের শব্দ এক করুন। এটি করার জন্য ৮/১০ বার বা তারও বেশী সংখ্যক বার চেষ্টা করতে হতে পারে। ১নং ও ২নং তার সমমেল হলে আমরা ৩নং তারে যাব।
৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল চেপে আগের মতো ২নং ৩নং তার একসাথে বাজাতে হবে। সমমেল না হওয়া পর্যন্ত ৩নং তারকে টান বা ঢিল করতে হবে।
৪নং তার টিউন করার জন্য, এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৪নং ও ৩ নং তার একসাথে বাজাতে হবে। দুটি সমমেল হওয়া না পর্যন্ত ৪নং তারকে টান দিতে বা ঢিল করতে হবে।
একইভাবে ৫ নং ও ৬ নং তার টিউন করতে হবে। ৫নং তারের সময় ৫নং ফ্রেটে ধরে ৫ ও ৪নং তার বাজাতে হবে। ৬নং তারের সময় এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৫নং তারের সাথে বাজাতে হবে।
একবার সব তার টিউন হয়ে গেলে আবার সবগুলো তারকে দেখে নিন ঠিক শোনাচ্ছে কি না। অর্থাৎ, ২ নং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ১নং তারের সাথে বাজান। ঠিক আছে মনে হলে, ৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল রেখে ২নং তারের সাথে বাজান; এভাবে সবগুলো দেখে নিন।
আমরা যে গিটার শিখতে চাই তা হলো অ্যাকুস্টিক স্প্যানিশ গিটার। আমাদের দেশে অনেকে হাওয়াইয়ান গিটারও শেখে তবে তা মূলত কেবল একক যন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়; গান গাওয়ার সময় অনুষঙ্গ হিসাবে নয়। অ্যাকুস্টিক গিটারে তারের কম্পন গিটারের কাঠের বডিতে অনুরণন হয়ে শব্দের সৃষ্টি করে। অপর দিকে ইলেকট্রিক গিটারে (ব্যান্ডগুলো যা নিয়ত ব্যবহার করে) তারের কম্পন সরাসরি সেন্সরের মাধ্যমে প্রিঅ্যাম্প হয়ে অ্যাম্পলিফায়ারে যায়। এ ক্ষেত্রে গিটারের বডি কেবল সৌন্দর্যের জন্য। গিটার শেখার জন্য অ্যাকুস্টিক বেশী উপযোগী বলে আমরা ইলেকট্রিক গিটার নিয়ে কোন আলোচনা করব না এখানে।
যাই হোক, অ্যাকুস্টিক গিটারে যে অংশগুলো থাকে তা চিত্রে দেখানো হলো।
ব্যাগ, পিক ও ক্যাপো:
গিটার কেনার সাথে সাথে তা বহন করা বা নিরাপদে রাখার জন্য একটা ব্যাগ খুব জরুরী। ব্যাগ শক্ত কাঠামো ও মোটা কাপড়ের হয়। শক্তগুলোর দাম বেশ বেশী হতে পারে, আর কাপড়ের ব্যাগ ২/৩শ টাকার মধ্যে পেয়ে যাওয়ার কথা। গিটার বাজানোর জন্য আমাদের কিছু পিক লাগবে। পিক আকারে ছোট বলে মাঝে মধ্যে হারায়, তাই একসাথে ৫/৬টা কিনে রাথা ভাল।
এত কিছু কেনার পর আমি সুপারিশ করব একটা ক্যাপো কিনতে। একটা ক্যাপো থাকলে গান গাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। গিটার টিউন করার জন্য অনেকে টিউনার ব্যবহার করে। ডিজিটাল টিউনারের দাম সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে আমরা টিউন নিজে নিজে করব বলে কোন টিউনারের দরকার নেই। খুব প্রয়োজন হলে বিশেষ সফটওয়ার নামাতে পারেন যা দিয়ে কম্পিউটারের সাহায্যে গিটার টিউন করা যায় (মাইক্রোফোন থাকতে হবে)। পিক ও ক্যাপোর ছবি দেয়া হলো।
গিটার টিউনিং:
গিটার বাজানোর আগে আমাদের টিউন করে নিতে হবে। প্রথম পাঠ বলে আমরা টিউন করাটা খুব সহজ করে শিখতে চাই। মোটামুটি টিউন করতে পারলে, পরের পাঠগুলো বুঝা সহজ হবে। যখন নোট ও স্কেল সম্পর্কে ভাল ধারণা হবে তখন আবার আমরা টিউনিংএর বিশদ জানব।
টিউন করা জন্য সবচেয়ে চিকন (১নং) তারকে মোটামুটিভাবে টান টান করুন। গিটারের মাথায় প্রতিটি তারকে টান দেবার বা ঢিল করার জন্য একটি করে টিউনিং কি আছে। একটা কিকে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখুন তার কি টান হচ্ছে না ঢিলা হচ্ছে। (সঠিকভাবে তার প্যাঁচানো থাকলে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরালে ১, ২, ও ৩ নং তার টান হবে। ৪, ৫ ও ৬নং এর বেলায় উল্টো।) তার খুব বেশী টান হলে বাজাতে কষ্ট হবে, অতিরিক্ত টান হলে তা ছিঁড়ে যাবে। আর খুব ঢিলা হলে বাজানোই যাবে না। কতটা টান হলে তা চলনসই হবে তা বোঝার জন্য তারটিকে ফ্রেটবোর্ডের মাঝ বরাবর উপরের ২নং তারের দিকে ঠেলা দিন। আধা সেন্টিমিটারের মত সরাতে পারলে ধরে নেয়া হবে তারে টান ঠিক আছে। ১নং তার এখন টিউন হয়ে গেছে।
এবার দুনং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে পিক দিয়ে একই সাথে ১নং ও ২নং তার বাজান। দুটো তারের শব্দ কি আলাদা করে শোনা যায়? সঠিক টিউন হলে দুতারে একই শব্দ শোনা যাবে। ঠিক না হলে একটা ঢেউয়ের মতো শব্দ শোনা যাবে। ২নং তারটিকে টান করে বা ঢিল করে দুটি তারের শব্দ এক করুন। এটি করার জন্য ৮/১০ বার বা তারও বেশী সংখ্যক বার চেষ্টা করতে হতে পারে। ১নং ও ২নং তার সমমেল হলে আমরা ৩নং তারে যাব।
৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল চেপে আগের মতো ২নং ৩নং তার একসাথে বাজাতে হবে। সমমেল না হওয়া পর্যন্ত ৩নং তারকে টান বা ঢিল করতে হবে।
৪নং তার টিউন করার জন্য, এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৪নং ও ৩ নং তার একসাথে বাজাতে হবে। দুটি সমমেল হওয়া না পর্যন্ত ৪নং তারকে টান দিতে বা ঢিল করতে হবে।
একইভাবে ৫ নং ও ৬ নং তার টিউন করতে হবে। ৫নং তারের সময় ৫নং ফ্রেটে ধরে ৫ ও ৪নং তার বাজাতে হবে। ৬নং তারের সময় এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৫নং তারের সাথে বাজাতে হবে।
একবার সব তার টিউন হয়ে গেলে আবার সবগুলো তারকে দেখে নিন ঠিক শোনাচ্ছে কি না। অর্থাৎ, ২ নং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ১নং তারের সাথে বাজান। ঠিক আছে মনে হলে, ৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল রেখে ২নং তারের সাথে বাজান; এভাবে সবগুলো দেখে নিন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন