>

মেতে উঠুন প্রযুক্তিবিদ্যের সুরে


*****কুইজ প্রতিযোগিতার বিজেতা লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। *****আর টিউন গুলো কতবার পাঠ করা হয়েছে তার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।*****আমাদের সাইটে বিজ্ঞাপন দিন।*****



কাঠের,বাঁশের,ইট-পাথর-সিমেন্টের সেতু নয় তৈরি হল জলের সেতু!!!!

সালাম সবাইকে। আজব টেক আজকে নিয়ে সেছে তথ্য প্রযুক্তির আজব খবর নিয়ে। ব্রিজ বা সেতু তো কত রকমই হতে পারে। কাঠের সেতু, বাঁশের সেতু, ইট-পাথর-সিমেন্টের সেতু। তাই বলে পানির সেতু! ওয়াটার ব্রিজ বা পানির সেতুর কথা শুনে হেসে উড়িয়ে দেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু আজগুবি নয়, সত্যি সত্যিই এ রকম সেতু আছে জার্মানিতে।
এই সেতু পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির সীমান্তে এলবা নদীতে অবস্থিত। শহরের নাম ম্যাগডেবার্গ। বার্লিন শহরের একদম কাছের একটি শহর।তবে নাম শুনে মনে হতে পারে, সেতুটি বোধহয় পানি দিয়ে তৈরি। আসলে তা নয়। সেতুটি তৈরি করতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন স্টিল আর ৬৮ হাজার ঘনমিটার কংক্রিট প্রয়োজন হয়েছিল। তবে সেতুটি মোটরগাড়ি, ট্রেন বা অন্য কোনো স্থলযান চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়নি; বরং এই সেতু দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ, স্টিমার, লঞ্চ ইত্যাদি জলযান চলাচল করে। ৯১৮ মিটার দীর্ঘ ও ৩৪ মিটার প্রশস্ত এই সেতুর পানির গভীরতা ৪ দশমিক ২৫ মিটার। তাই এর ওপর দিয়ে সহজেই এসব জলযান চলাচল করতে পারে।

১৯১৯ সালে প্রথম এই সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপর সেতুটির গুরুত্ব বুঝতে পেরে জার্মান সরকার ১৯৩৮ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন কেউই আর সেতুটি নিয়ে কিছু ভাবেনি। পরবর্তী সময় দুই জার্মানি একত্র হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে পুনরায় এর কাজ শুরু হয়। ছয় বছর পর সমাপ্ত হয় এর কাজ। প্রায় অর্ধবিলিয়ন ইউরো দিয়ে তৈরি সেতুটি বার্লিনের দুটি বিখ্যাত ক্যানালকে সংযুক্ত করেছে। অন্য কথায়, পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানিকে সংযুক্ত করেছে। এলবা-হাভেল ও মিটারল্যান্ড নামের এই দুই ক্যানাল সংযুক্ত করায় অনেক সুবিধা হয়েছে। এখন বাণিজ্যিক জাহাজগুলো রাইন নদীতে, বার্লিন বন্দরে সহজে পৌঁছাতে পারে। এতে জাহাজগুলোকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ কম পাড়ি দিতে হয়। তবে বাণিজ্যিক গুরুত্বের পাশাপাশি পর্যটকদের নজর কেড়েছে আজব এই ওয়াটার ব্রিজ। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শক এই সেতু দেখতে এখানে ভিড় জমায়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
© 2013 টেক মাস্টার , ডিজাইন করেছেন নুরে করিম শুভ , কপিরাইটার © ২০১২-২০১৬ শুভ কম্পিউটার