স্বপ্ন হল ধারাবাহিক কতগুলো ছবি ও আবেগের সমষ্টি যা ঘুমের সময় আমাদের মনের মধ্যে আসে। এগুলো আমাদের কল্পনা হতে পারে, অথবা আমাদের অবচেতন মনের কথাও হতে পারে। সাধারনতঃ আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি। তবে সবগুলো মনে থাকে না।
গবেষণা
১৯৪০-এর দশক থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ক্যালভিন এস. হল নামীয় একজন গবেষক পঞ্চাশ হাজারেরও অধিক স্বপ্ন সম্বন্ধীয় প্রতিবেদন সংগ্রহ করে ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটিতে পেশ করেন। ১৯৬৬ সালে হল এবং ভ্যান দ্য ক্যাসল দ্য কন্টেন্ট এনালাইসিস অব ড্রিমস নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। গ্রন্থে তাঁরা কোডিং পদ্ধতির মাধ্যমে এক হাজার কলেজ ছাত্রের স্বপ্নীল প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন। সেখানে তাঁরা দেখিয়েছেন যে, সমগ্র বিশ্বের জনগণ সাধারণতঃ একই ধরনের বিষয়াদি নিয়ে স্বপ্ন দেখে থাকেন। হলে’র পূর্ণাঙ্গ স্বপ্ন সম্বলিত প্রতিবেদন ১৯৯০-এর মাঝামাঝি সময়কালে তাঁর সন্তান উইলিয়াম ডোমহফ কর্তৃক জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়। সেখানে আরও ভিন্নতর বিশ্লেষণ দেখা যায়। শেষ দিন বা শেষ সপ্তাহে সংঘটিত ঘটনাগুলোকে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আনয়ণের ফলে স্বাভাবিকভাবেই তা স্বপ্নের জগতে প্রবেশে সক্ষম হয়ে থাকে।জৈবিক ধারা
ক্যালভিন হলের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, যৌবনে ১০ শতাংশের বেশী যৌন স্বপ্ন দৃষ্ট হয় না এবং যৌবনের মধ্যভাগে এ ধারা আরো অতি সাধারণ একটি বিষয়।আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ৮% নর-নারী যৌন স্বপ্ন দেখে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌন স্বপ্নের ফলে অতি উত্তেজনার পরিবেশ ডেকে আনে বা বীর্যপাতন ঘটায়। সচরাচর তা ভেজা স্বপ্ন বা স্বপ্নদোষ নামে পরিচিতি বহন করে।সূত্র:- wikipedia
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন